দলের এই ক্লান্তিলগ্নে বিভাজন করার সময় নাইঃ কাজী হিমেল

চলমান দলীয় বিভেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জনাব কাজী হিমেল, এ বিষয়ে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে যা লিখেছেন তা নিচে তুলে ধরা হলো।

জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো,
অাপনি যতই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোন না কেন,যদি অাপনার পারিবারিক শিক্ষাটা না থাকে তবে অাপনি প্রকৃত মানুষ হতে পারবেন না , একজন মানুষের ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও মূল্যবোধ থাকাটা জরুরি।

বিগত ১০ বছর ওতপ্রোতভাবে রাজনৈতিক পথচলায় সবার সাথেই মিশুক ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করে অাসছি, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দলের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে, মানুষকে কথার মাধ্যমে ছোঁট করে দেখা বা কাউকে অপমানিত করার মত শিক্ষা অামার পরিবার থেকে পাইনি,

ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অামাকে নিয়ে বিভিন্ন ফেক অাইডি দিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে, ইচ্ছা করলে তাদের সাথে তর্কে জড়াতে পারতাম কিন্তু করিনি, কারন ফেক অাইডি যারা চালায় এটা তাদের চরিত্রগত দোষ, নিজ পরিচয়ে তাদের কিছু বলার ক্ষমতা রাখেনা বিদায়ই ফেক অাইডিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সেই সব ফেক অাইডি ব্যবহার কারীদের বলতে চাই।

বিএনপির রাজনীতি করার কারণে ২ টি মামলা= ০৬/০৬/২০১২ ইং ১ম মামলা ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়ক দরিকান্দী “আবাদী ফিলিং স্টেশন” এর বিষ্ফোরক মামলার আমি ২৬ নাম্বার আসামি এবং ২৮/০৮/২০১৯ ইং ২য় মামলা এক মিটিং এ কাঁচপুর থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে সহ মোট ১৩ জন , এই মামলায় জেলে খেটেছি ১৮ দিন , রিমান্ডেও ছিলাম ১ দিন সবাই। এইসব মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে, বিএনপির রাজনীতি করার কারনে । বিএনপির রাজনীতি করার কারণে প্রায়ই নিজ বাসায় থাকতে পারিনি পুলিশের হয়রানিতে, যদি অাপোষ করেই চলতাম তবে এত কিছু সহ্য করা লাগতোনা।

পর পর ২ বার সারা বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকারী “ঢাকা কমার্স কলেজ” থেকে HSC কমপ্লিট ।
বর্তমানে , ঐতিহ্যবাহী “ঢাকা কলেজ” এ “Management Department” MBA আছি ।

সারা বাংলাদেশের নেতৃত্ব তৈরি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ থেকে, অামি বর্তমানে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক হিসেবে রয়েছি, ইনশাঅাল্লাহ্ অাগামীতেও থাকবো, ঢাকার প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করছি, কখনো কখনো ঢাকার প্রোগ্রাম যদি না থাকে তাহলে ভিপি রাজীব ভাইয়ের ডাকে নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জের প্রোগ্রাম গুলোও করি,যদিও অামি স্থানীয় রাজনীতি করবোনা, তবুও দলের টানে শহীদ জিয়ার অাদর্শকে ভালোবেসে নিঃস্বার্থে স্থানীয় প্রোগ্রাম গুলোতে যাই এটা যদি অামার দলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ না হয় তবে অামার কিছু বলার নাই।

যারাই অামাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তাদেরকে বলি অাগে নিজের অবস্থান কোথায় সেটা বিবেচনা করুন, নিজের অবস্থান বুঝে মন্তব্য করুন, দলের এই ক্লান্তিলগ্নে এখন বিভাজন করার সময় নাই, চলুন মিলে মিশে মমতাময়ী দেশনেত্রী’কে মুক্তি করি, চলুন একতাবদ্ধ হয়ে দেশের হাড়িয়ে যাওয়া গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি,
সুতরাং,
অাপোষ নয় সংগ্রাম সংগ্রাম
দালালী নয় রাজপথ রাজপথ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!