বিশ্বনাথে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে অর্ধশতাধিক লোককে আহত করার অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথের শাহজিরগাঁওয়ের সোনাফর আলীর ছেলে, বিশ্বানথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. ফয়জুল ইসলাম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, রাজনৈতিক মত প্রার্থক্যের বিরোধ থাকায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের আরজান আলীর ছেলে রফিক আলী ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীদের নিয়ে পাইপগান, বন্দুক, রামদা, ডেগার ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন।
তিনি বলেন, রফিক আলী একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র একজন সক্রিয় নেতা ছিল। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বার্থান্বেষী মহলের সহযোগীতায় সকল অপকর্ম ঢাকা দিতে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতার সাথে সেলফি তুলে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবি করে। এবং বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দিলে আমি ও আমার আত্মীয় স্বজনের উপর অর্তর্কিত হামলা করে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে হামরা করে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোক গুলিবিদ্ধ হন। এ মামলা এখন বিচারাধিন আছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তারা দিনে দুপুরে আমার বাড়ির পাশে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে এবং খুন জখমের চেষ্টা করে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানালেও অজ্ঞাত কারণে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন। তাই এলাকার মানুষ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না।এ বিষয়ে পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুলিপি দেওয়া হলেও দৃশ্যমান কোন প্রতিকার পাননি বলেও জানন তিনি। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নিরিহ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শাহনূর আলি, আব্দুর সালাম, হাবিবুর রহমান,মাহবুব, সাবুল,নজরুল ইসলাম,মনফর আলী,আয়না মিয়া,দুলাল মিয়া,কবির,শাফায়েত আলী,জামাল,মাহতাবুর রহমান,খালেক মিয়া প্রমুখ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার