আশিকুজ্জামান ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গৌরীপুর আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার দাখিল করেছেন বিভাগীয় প্রতিনিধি দল। তবে অন্য ৩টি ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশিত হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্ত দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গৌরীপুর ও শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ইন্টারন্যাল সিগন্যাল সিস্টেম প্রায় ৫৪ বছরের পুরনো। গৌরীপুর জংশনের ইন্টারন্যাল সিগন্যাল সিস্টেমের সমস্যার কারণে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যূত হয়।
তিনি আরও জানান, এ দুটো স্টেশনের সিগন্যাল সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য পত্র দেয়া হয়েছে এবং সিগন্যাল সিস্টেম আধুনিকায়ন (কম্পিউটারাইজ) করার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ১৫ জানুয়ারি রাতে গৌরীপুর জংশনের আউটার সিগন্যাল অতিক্রমের সময় লাইনচ্যূৎ হয়।
অপরদিকে ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জামালপুরের তারাকান্দিগামী সার বোঝাই মালবাহী ট্রেনের বগি গৌরীপুরে লাইনচ্যূৎ হয়।
মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করতে এসে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনের টুলস ইঞ্জিনও ওইদিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে লাইনচ্যূৎ হয়।
এরপর ২০ জারিয়া থেকে ময়মনসিংহগামী জারিয়া লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে, লাইনচ্যূৎ হয়।
এ সব দুর্ঘটনা কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার প্রকৃত অনুসন্ধান শেষে যে সব সমস্যা পরীলক্ষিত হয়, তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার