আশরাফুল সিকদার কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় চরম জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়া মহাসড়কে পারাপার হচ্ছে হাজারও পথচারী। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে মৃত্যুসহ ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা। জানাযায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক দেশের ব্যাস্ততম সড়ক গুলোর মধ্যে একটি। ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের সহলভ্যতা আনার জন্য খুবই দ্রুত এই মহাসড়কটি চারলেন করা হয়েছে। এছাড়া যানজটের ভোগান্তি আরও নিরসন করতে নির্মাণ করা হচ্ছে বেশকিছু উড়াল সড়ক। ফলে যানজটের ভোগান্তির অবসান ঘটলেও মহাসড়কে পথচারীদের পারাপারে ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। বেপরোয়া মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল কলেজের ছোট বড় শিক্ষার্থীরা।
দিনের সবচেয়ে ব্যাস্ততম সময় সকাল। সরেজমিনে দেখামেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাস টার্মিনাল, পল্লীবিদ্যুৎ, সফিপুর, মৌচাকসহ আরও কিছু জনবহুল এলাকায় মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে সড়ক পারাপার হওয়ার দৃশ্য। কোথাও নেই সড়ক পারাপারে নিরাপত্তার জন্য জেব্রাক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ। ফলে দিশেহারা হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই লাগামহীন পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। সম্প্রতি কিছু মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ জোড়া পাম্প এলাকায়। সড়কে ঝরেছে বেশকিছু প্রাণ। হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায় এর অধিকাংশ দূর্ঘটনা সড়ক পারাপারে সময় হয়েছে। তবুও সড়ক পারাপারে এখনো পর্যন্ত কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলে দাবি জানান সচেতন মহলের লোকজন।
এদিকে উপজেলার চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি থামানো এবং ট্রাফিক অমান্য করে উল্ট পথে লাগামহীন যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক পারাপারে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায় প্রতিনিয়তই সেখানে ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। বিভিন্ন দিক থেকে ধেয়ে আসা বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকের মুখোমুখি হচ্ছে পথচারী ও স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে চন্দ্রা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ শিপলু মিয়া জানান আমরা পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এখানে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপারের সময় সিগন্যাল ফেলে নিরাপদে পারাপার করে দেওয়া হচ্ছে। তবে মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সড়ক পারাপারে চরম ঝুকিপূর্ণতার কথা স্বীকার করেলেন তিনি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাজীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন চন্দ্রা এলাকার দায়িত্বে আমাদের প্রজেক্ট ম্যানেজার রয়েছে তার সাথে কথা বলেন এটা ওনি বলতে পারবে।
এ বিষয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজারের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।