হাসপাতালে রোগী ভর্তির ১০ মিনিট পর রোগীকে বের করে দিলো এমডি জাহাঙ্গীর আলম

নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র চাষাড়ায় অবস্থিত মেডিহোপ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন পেট ব্যাথার রোগীকে আধা ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ভর্তি করেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আনিকা। তারপর জ্বর ও প্রেশার মেপে ৩য় তলায় কেবিনে নিয়ে ১টি স্যালাইন পুশ করেন। অতঃপর ১০ মিনিট পর অদৃশ্য কারণে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখেই রোগীর আত্মীয়স্বজনকে উক্ত রোগী নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করেন হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জনাব জাহাঙ্গীর আলম। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে হাসপাতালের এধরণের আচরণে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

ভুক্তভোগী বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা এলাকার ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পলাশের স্ত্রী ফাতেমা ইসলাম। হঠাৎ পেট ব্যাথা দেখা দিলে গত ২১ মার্চ শনিবার সকাল ৯ টায় উক্ত মেডিহোপ হাসপাতালে নিয়ে যান রগীর স্বজনরা। কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আনিকা তাকে আধা ঘন্টা জরুরী বিভাগে জিজ্ঞাসাবাদ করে অত্র হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ তারপর ৩য় তলার কেবিনে নিয়ে গিয়ে স্যালাইন পুশ করেন। কিন্তু ১০ মিনিট পর পেট ব্যাথার রোগী রাখা যাবেনা সরকারি এমন নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে চিকিৎসার জন্য রোগীর স্বজনদের বাধ্য করেন জনাব জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাইফুল ইসলাম পলাশ সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাসের বিন্দু পরিমান লক্ষন না থাকা সত্ত্বেও একজন পেট ব্যাথার রোগীকে সরকারি নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে এভাবে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার যৌক্তিকতা আমার বোধগম্য নয়৷ সাধারনত একজন সুস্থ মানুষের দেহের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১০০ ডিগ্রীর উপরে গেলে আমরা তাকে জ্বরে আক্রান্ত বলে থাকি। কিন্তু আমার স্ত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রী ও পেট ব্যাথা ছিলো। তারা ভর্তি করে স্যালাইন পুশ করে চিকিৎসা দিয়েও রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাধ্য করেন৷ আদৌ কি সরকার এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কিনা সেটা আমার জানা নেই৷ যদি তাই হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে হলে কোথায় যাবে?

এভাবে হয়রানী করার উপায় কি হতে পারে তা আমাদের জানা নেই। সকল প্রাইভেট ও সরকারি হাসপাতালে নিত্যদিন রোগীরা এভাবে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।

তাই অনতিবিলম্বে এরূপ হাসপাতাল সহ অন্যান্য যে সকল হাসপাতাল রোগীদের সেবা না দিয়ে হয়রানী করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনি ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের কামনা করছি।
এ বিষয়ে মেডিহোপ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোন কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!