প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ নিয়েও রাজবাড়ীতে রাজনীতি ॥ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে বাধা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ নিয়েও রাজবাড়ীতে চলছে রাজনীতি। সারাদেশে করোনা প্রতিরোধে কার্যত লকডাউনের মধ্যেই শুরু হয়েছে বোরো মৌসুম। ধান কাটা নিয়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষকের পাশে দাড়াতে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও সাধারন সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি (এমপি) এর তত্ববধানে ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয়ক ও কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক সহ রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর খান, সদর উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহম্মেদ, সদস্য সচিব আলাউদ্দিন সহ বালিয়াকান্দি উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সহ কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের ধান কেটে দেন। এ ধান কাটা নিয়ে বিটিভি সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।
তবে এ সংবাদ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে জনপ্রিয় কৃষকলীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক এর জনপ্রিয়তায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাংশার একটি মহল নানা ধরনের কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয়।
সম্প্রতি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউপির জনৈক কৃষককে ভুলভাল বুঝিয়ে কৃষকলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আবু বক্কর খান জানান, কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে একটা মহল। কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা ওই কৃষকের ধান কেটে দিয়ে আসায় তারা খুশি হয়েছিল। কিন্তু একটা মহলের ইন্ধনে তারা এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছে। তবে কৃষকের ধান কেটে দিয়ে আসায় তাদের উপকারই হয়েছে এটা নিয়ে রাজনীতি করার কি আছে। আমরা কৃষকের পাশে ছিলাম এবং ভবিষৎতেও থাকবো, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই কৃষক এবং কৃষকলীগকে নিয়ে অপপ্রচার না চালানোর আহবান জানান তিনি।
নুরে আলম সিদ্দিকী হক জানান, দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যু হয় মিরপুরের টোলারবাগ অঞ্চলে। এরপর থেকেই লকডাউন করে দেয়া হয় ওই অঞ্চল। আর এ সময় তিনি তার টোলারবাগের বাসাতে অবস্থানের কারনে কার্যত গৃহবন্ধী হয়ে পরেন। তারপরও থেমে থাকেন নি তিনি। দেশের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি তিনি নিজেও নিয়েছেন প্রানের রাজবাড়ীবাসীর খোঁজ খবর। নিজে বাসা থেকে বের হতে না পারলেও প্রতিনিধির মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসহায় মানুষের জন্য। মোবাইল ফোনে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে অভুক্ত মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার। যা এখনও প্রতিনিয়ত করেই যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, শুধু আমার এলাকার ভোটার হলেই তাকে সহযোগিতা করবো এমন নয়। আমি ভোটের রাজনীতি করি না, ভালবাসার রাজনীতি করি। অল্পকিছুদিন পুর্বে উত্তরবঙ্গ থেকে কাজের সন্ধানে রাজবাড়ীতে এসে লকডাউনের মধ্যে আটকে পড়েন বেশ কিছু লোক। সেটা জানার সাথে সাথেই আমি লোক পাঠিয়েছি তাদের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য। এছাড়াও সাধ্যমত চেষ্টা করছি অসহায় জনগোষ্টির পাশে দাঁড়াতে।
ধান কাটা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই করোনা ভয় তুচ্ছ করে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে গিয়েছি রাজবাড়ীতে। কৃষকের পাশে থেকে নিজ হাতে তাদের ক্ষেতের ধান কেটে দিয়ে এসেছি। আর এ কাজটি এখন জণনেত্রীর নির্দেশক্রমে দলের সব নেতাকর্মীরাই করছেন। আর তখন ওই কৃষক আমাদের কাজে খুবই খুশি হয়েছিলেন। তবে আমরা সেখান থেকে চলে আসার পর ওই কৃষক ফ্যামিলীকে দিয়ে আমার ও আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য করছে রাজবাড়ীর একটা বিশেষ মহল। যারা সব কিছুতেই রাজনীতি খুজে।। আমি দৃঢ়ভাবে তাদের বলতে চাই। সব কিছুতেই রাজনীতি খুজবেন না। দেশের এই সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ান, পারলে মানুষের উপকার করুন। দেশের এই সংকটময় মুহর্তে দেশের মানুষের সাথে রাজনীতি করতে গিয়ে দেশকে এবং দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ফেলবেন না। কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে আজ যারা ব্যাঙ্গ করছেন, তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকেই মুলত ব্যাঙ্গ করতে চাইছেন। তাদের এই দুঃসাহসিক অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।
নোংরা রাজনীতি থেকে বের হয়ে দেশের মানুষকে ভালবাসার আহবান জানান তিনি। এছাড়া ও রাজবাড়ী জেলার জনসাধারনকে এসব বিভ্রান্ত মুলক তথ্য পরিহার করার আহবান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!