সোনারগাঁয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে পালিত মেয়ে রাজি না হওয়ায় মায়ের নির্যাতন
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ, ২০ এপ্রিল ॥ সোনারগাঁয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে পালিত কন্যা সন্তান রাজি না হওয়ায় তার মার বিরুদ্ধে শারিরীক নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামে । এ ঘটনায় মেয়ে বাদী হয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের পালিত মেয়ে (১৬) কে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করার চেষ্টা করে তার স্ত্রী হাসিনা বেগম। মায়ের এমন সিদ্ধান্তে পালিত মেয়ে রাজি না হলে তাকে র্দীঘদিন ধরে শারিরীক নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখেন। মেয়েটি নিজের জীবন রক্ষার্থে গত বুধবার দুপুরে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে একই গ্রামের আঃ মতিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কিছু বিচারকরা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মেয়ে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন।
পালিত মেয়ে (১৬) জানান, আমার পালিত মা র্দীঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে । আমাকে দিয়েও অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করার চেষ্টা করেন । মায়ের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে আমাকে শারিরীক নির্যাতন করেন এমনকি আমার পড়ালেখাও বন্ধ করে দিয়েছেন। আমার জীবন বাঁচাতে এখন অন্যজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
অভিযোক্ত হাসিনা বেগমকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, আপনি ফাঁড়ির স্যারের সাথে কথা বলেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এ মহিলার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী একাধিকবার বাধা দিয়েছে । কোনো ভাবেই বন্ধ করা যায়নি । যদি কেউ এককভাবে বাধা দিতে যায় তাকে জড়িয়ে নানান মন্তব্য করেন। মেয়ের বিষয়টি আমরা শুনে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি । এ মহিলার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী গণহারে স্বাক্ষর দিয়েছেন ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাসিন হোসেন বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য আমরা সোমবার সকালে বসেছিলাম । এক পক্ষ উপস্থিত হয়েছে আরেক পক্ষ আসেনি । বর্তমান পরিস্থিতিতে শতাধিক লোক একসাথে নিয়ে বিচার শালিশ করেন কিভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক লোক উপস্থিত হয়েছিলো কেউ কারো পাশে ছিলো না । সন্ধ্যার পরে আবারও বসবো । বিষয়টি মীমাংসা না হলে আইনি প্রক্রিয়া চলবে।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে । তৃতীয় পক্ষ কোনো প্রকার সুবিধা নিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে । ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শতাধিক লোক একসাথে নিয়ে বিচার শালিশ করে কিভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে । এক সাথে এত লোক নিয়ে বিচার করার কোনো সুযোগ নেই ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার