মোঃমিমরাজ হোসেন রাহুল,প্রকাশকঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে আকাশ পথ, স্থলপথ ও জলপথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। কর্মহীন ও ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্যসেবা আজ চরম হুমকির মুখে। দিনদিন বাংলাদেশেও এই মহামারী সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাস আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৭০০ এর অধিক মানুষ এবং এই পর্যন্ত প্রায় চৌদ্দ হাজারেরও অধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই সরকার সারা বাংলাদেশকে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে এসেছে যা আগামী ১৬ ই মে পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
এই সংক্রামক ও ছোঁয়াচে ব্যাধি করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শহর এলাকায়। এখন দিনে দিনে বিভিন্ন উপজেলায় মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলায় এই করোনা ভাইরাসের থাবা চরম রূপ ধারণ করেছে। তাই সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব সাইদুল ইসলাম সাহেব বারবার প্রত্যেককেই যার যার ঘরে অবস্থান গ্রহণ করার অনুরোধ করছেন।
প্রতিদিন সোনারগাঁয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই হুহু করে। বিগত দিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বাদ ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলার সর্ববৃহৎ ও জনবহুল ইউনিয়ন সনমান্দি ইউনিয়ন। অতি সম্প্রতি সনমান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরলাল গ্রামে স্বামী-স্ত্রী দু'জনের করোনা সনাক্তকরণ পজিটিভ এসেছে।
একটি সাক্ষাৎকারে সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ বলেন:-
আমার প্রিয় সনমানদী ইউনিয়ন বাসী আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, আমাদের ইউনিয়নেও মহামারী করোনা ভাইরাস দুজনের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে এবং তারা দুজন স্বামী -স্ত্রী। আমাদের ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরলাল গ্রামে করোনায় আক্রান্ত পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের আশেপাশে আরো পাঁচটি পরিবারকে ইতিমধ্যে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব হারুন রশিদ মোল্লার মাধ্যমে আমি ইতিমধ্যে লকডাউন এর আওতায় পাঁচটি পরিবারকে আলাদাভাবে "উপহার সামগ্রী" পাঠিয়েছি। আমাদের এই উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে,
চাউল ২০ কেজি, আলু ২ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, ডাল ১ কেজি, তেল ১ লিটার, লবন ১ কেজি, আদা, গরম মসলা, চা ১ বক্স, ফেস মাস্ক ৫টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
প্রিয় ইউনিয়ন বাসী, আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আক্রান্ত পরিবারের সাথে মানবিক আচরণ করুন। কারণ এই ছোঁয়াচে ভাইরাস কাকে কখন কিভাবে আক্রান্ত করে তা সে নিজেও জানে না। অতএব, সবাইকে সাবধান ও সচেতন হয়ে যার যার ঘরে অবস্থান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমরা আক্রান্ত প্রতিটি পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ। সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে বলা হলো।
সবশেষে তিনি ইউনিয়ন বাসীর প্রত্যেকের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার