রয়েল হাসান, রংপুর:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বালাতারী গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করেছে এক পাষন্ড স্বামী।
ঘটনাটি ঘটে ৯ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে। স্থানীয়রা হত্যা চেষ্টাকারী দীপু চন্দ্র রায়কে (২৭) হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে ওই দিন ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের কওে আহতের ভাই পবিন চন্দ্র বর্মন। মামলা নং-৪।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বালাতারী নিবাসী নগেন চন্দ্র বর্মনের মেয়ে চন্দনা রানী বর্ম্মনের সাথে পার্শ্ববর্তী শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রোশন শিমুলবাড়ী গ্রামের দুলাল চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপু চন্দ্র রায়ের ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ২ বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের পারিবারিক অশান্তি লেগেই আছে। প্রায়ই স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতো দীপু বলে অভিযোগ মেয়ে পক্ষের।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিবাদের মিমাংসা হয়েছে বলে জানা যায়। নির্যাতন ও বিবাদ চরম আকার ধারণ করলে ২৪ এপ্রিল চন্দনা বাবার বাড়ি পূর্ব বালাতারী গ্রামে চলে আসে। এরপর দীপু মোবাইলে স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছিল। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দীপু তার শ্বশুরবাড়ী থেকে স্ত্রীকে জোড় করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। চন্দনা এতে রাজী না হলে তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে দীপু। এক পর্যায়ে কোমড় থেকে চাকু বের করে চন্দনার বুকে ও পেটে আঘাত করে সে। নগেন চন্দ্র বর্মন (৮০) মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার মুখে ঘুষি মারে দীপু। এতে তার মুখের ২ টি দাঁত ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা এসে দীপুকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আহত নগেন চন্দ্র বর্মন ও চন্দনাকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চন্দনার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, অভিযুক্তকে স্থানীয়রা আটক করে রাখলে সেখান থেকে তাকে নিয়ে এসেছি। সে তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করেছে এবং শ্বশুরের ওপর হামলা করে তার দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে আজ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার