কুড়িগ্রামে গত দু'দিন ধরে কখনও হালকা এবং কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘর থেকে বের হতে না পারায় শ্রমজীবী মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি। পাশাপাশি উজান থেকে ঢল নেমে আসতে শুরু করায় নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ধরলা অববাহিকার ফেরীঘাট পয়েন্টে ১৩৪ মিলিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চিলমারী পয়েন্টে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অবিরাম বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর ফেরীঘাট পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে সব নদীর পানি প্রবাহ এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদী বেষ্টিত সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে থাকায় ঝুনকারচর, গোয়ালপুরি, রলাকাটা, ভগবতীপুর কালির আলগা পোড়ার চর, চর পার্বতীপুর ও চর যাত্রাপুর-এই দ্বীপচরের গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে বন্যা আতংকে ভুগছেন নদী পাড়ের মানুষ।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, দ্বীপচরগুলোতে ২০ হেক্টরের মতো জমিতে এবার কালি বোরো ধান আবাদ হয়েছে। প্রায় সব ক্ষেতের ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে খুবই সামান্য পরিমাণ ক্ষেতে যে কালি বোরো ধান রয়েছে তা দ্রুত কেটে ফেলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হামার কুড়িগ্রাম
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার