সাইমুন নিয়াত, শরণখোলা (বাগেরহাট)প্রতিনিধি
পূর্ব সুন্দরবনের দুই লাখ ৩৪ হাজার একশত ৪৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমির মধ্যে দুই শতাধিক নদী ও খাল রয়েছে। এর মধ্যে অভয়ারণ্য এলাকাসহ ১৮টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রসস্ত খালে সারা বছর মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এছাড়া মৎস্য প্রজননের জন্য জুলাই ও আগষ্ট দুই মাস সকল খালে মৎস্য আহরন বন্ধ করা হয়।
আগামী জুলাই ও আগস্ট দুই মাস সুন্দরবনে সকল প্রকার মৎস্য আহরন বন্ধ হচ্ছে। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও প্রজননরে জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান না করে মাছ ধরা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চি হয়ে পড়েছে।
এসব নিষিদ্ধ নদী-খাল ছাড়া সারা বছর প্রতি গোনে (প্রতি মাসের আমাবশ্বা ও পূর্ণিমার সময় মাছ ধরার মৌসুম) প্রায় দুই হাজার পারমিটধারী জেলে মৎস্য আহরন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এ মৎস্য আহরনের উপর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জরিত রয়েছে।
এদিকে জেলেরা জানান বর্তমানে করোনা দুযোর্গের কারনে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে তার উপর মৎস্য আহরন দুই মাস বন্ধ থাকলে জেলেদের জীবন-জীবিকা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
করোনার কারনে সুন্দরবনের জেলেদের মাছ ধরা ছাড়া এবার আর কোন কাজ কারার সুযোগ নেই। এবছর দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকবে। তাই এ বছর জেলেদের সুযোগ দেয়ার দাবী জানান মাছ ব্যবসায়ী ও জেলে পরিবার।
এ ব্যাপারে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, জুলাই ও আগস্ট মাস হচ্ছে মৎস্য প্রজননের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত সকল মাছে ডিম ছাড়ে।তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সকল প্রকার মৎস্য আহরন বন্ধ থাকবে।
সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ। এর ফলে সুন্দরবনে এ দুই মাস নিরাপদে মৎস্য প্রজনন ঘটে থাকে।