স্টাফ রিপোর্টার:
প্রথম দফা বন্যার পানি নামতে না নামতেই আবারো টানা বৃষ্টি সাথে উজানের ঢলে তলিয়ে যেতে শুরু করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার গ্রামের পর গ্রাম। পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যায় উপজেলা পরিষদ, থানা, হাসপাতাল সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অফিস।প্রধান সড়ক গুলো এখন পানির নিচে।
করোনার ভয়ে গৃহবন্দি চিলমারীর মানুষজন ভাইরাসের ভয় থেকে মুক্ত না হতেই বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। করছেন মানবেতর জীবন যাপন।
বন্যার পানি নেমে না যাওয়ায় এবং প্রবল বর্ষণে নতুন কিছু এলাকা বন্যার পানি ডুবে পুরো উপজেলা এখন পানিতে ভাসছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুইলক্ষাধিক মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। দুঃখ কষ্ট মাথায় নিয়ে দিনাপাত করলেও মিলছে না কোনো সরকারী বা বে-সরকারী সহায়তা।
ঘরছাড়া মানুষজন বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করলেও কেউ খবর নিচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ।
উপজেলার প্রধান সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। মানুষজন শহরের ভিতরে নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে চলাচল করলেও দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি হয়ে বাঁধে, কেচি সড়কে, রেল সড়কসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও মেলেনি সরকারী বা বে-সরকারী কোন সাহায্য।
এ দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানাচ্ছে অন্য কথা, তারা বলছে বানভাসীদের মাঝে ২৪ মে.টন চাল, শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় পয়েন্টে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবয়েল এবং ভ্রাম্যমান ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ মুঠোফোনে জানান ,আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ধারাবাহিক ভাবে বানভাসীদের সাহায্য করা হবে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে।