প্রাথমিক শিক্ষকগণ রীট করে নয়,আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়।

প্রাথমিক শিক্ষকগণ রীট করে নয়,আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়।

সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে সরকারি বিধি নিষেধের প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান রেখে বলছি।
গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু এখান থেকে হোক না।প্রাইমারি মানে রিট।এ যেন নাড়ীর সম্পর্ক। যেন যুগ যুগ ধরে চলে আসা রীতি।
এই রীট এক কাল অভিশাপ।পান থেকে চুন খসলে ছাড় নেয়।কর্তৃপক্ষও যেন শপথ করেছে।রীট ছাড়া কার্য সিদ্ধি না।বছরের পর বছর ঝুলে আছে।
প্রাইমারিতে সহকারী নিয়োগ,প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,সহকারী শিক্ষা অফিসার,ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ এই রীটের কবলে।
আসলে আমাদের দাবি আমরা বলব কোথায়?? দেশের নাগরিক হিসেবে, সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে৷ আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া বৈষম্য আমরা কার কাছে বলব??? সম্মানিত ডিজি,সচিব, প্রতিমন্ত্রীর মহোদয়ের কাছে আমরা তো আমাদের বৈষম্যগুলো বলতে পারি না।
অনলাইন যুগে তাঁদের কাছে আমাদের দাবি বলতে পারি না।বলতে গেলে সংগঠনের নেতা হতে হয়।তাই তো আজ অনেক নেতা।অনেক সংগঠন।অনেক দলাদলি।
যদি এমন হত তাঁদের সাথে কথা বলাটা এত কঠিন না বা নিজস্ব ক্যাডার থাকত বা প্রতিমন্ত্রীর সাথে নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষকরা তাঁদের সমস্যা বলতে পারত।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ন্যায্য দাবি পূরণে নিজস্ব ক্ষমতাবলে তা সুপারিশ করতে পারতেন আজ রীটের ঝামেলা থাকত না।এ নিয়ে হয়েছে কত বাণিজ্য।শিক্ষকরা হারিয়েছে পারস্পরিক বিশ্বাস,সম্মান আর শ্রদ্ধা।আমরা চায় আমাদের ন্যায্য অধিকার আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে পারব কোন মাধ্যম ছাড়া।প্রত্যেক শিক্ষক বুঝিয়ে বলতে পারে তাঁর ন্যায্য পাওনার কথা।তবে প্রথম তলা থেকে পঞ্চম তলায় গিয়ে কথাগুলো অন্য অর্থে দাড়াঁত না।তাই আমরা প্রথম তলা থেকে সরাসরি চূড়াতে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বলতে চায়।তাহলে এ রীট,তথাকথিত বহুল শিক্ষক সংগঠন আর শিক্ষক নেতা থাকত না।গণতান্ত্রিক ভাবে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকত।জননেত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার স্বপ্ন মানসম্মত শিক্ষা তবেই সফল হবে।।

লেখকঃ
ফারজানা আক্তার
সহকারী শিক্ষক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাশঁখালী,চট্রগ্রাম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!