বিভাগীয় প্রার্থীতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের আক্ষেপ শেষ হবে তো??
আকাশে ঘন মেঘ কেটে একটু সূর্যের আভা।কিন্তু সূর্যের সে তেজ সব দিকের অন্ধকার দূরীভূত করতে পারছে না!! কেন জানেন???
সবে ২য় শ্রেণীর স্নাতক পাশ চেয়ে ১৩ তম গ্রেড দিয়ে একটু আশার আলো ছড়িয়েছে।আমার এ শিক্ষা দুর্বলতা না,শক্তি।একটু ভরসা পাচ্ছি প্রজ্ঞাপন জারির ফলে।
আবার সে কাল খসড়া একটু আলোকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিল বিভাগীয় প্রার্থীতা বাতিল করে।প্রধান শিক্ষকরা কেবল পদন্নোতি পাবে।এখানে ভাল ভাল বিষয়ে স্নাতক,স্নাতকোত্তর।ভাল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়।সব বাদ দিয়ে সহকারি পোস্টটা ব্লক পোস্ট।কেমন লাগে?? গুমড়ে গুমড়ে মরা।দেহ থেকে আত্নাটা উগড়ে যাওয়াটা বাকি।তাই না???
এ তরুণ স্বপ্নটা ব্লক পোস্টের কাল আইনে এভাবে আত্নহুতি দিবে???চাইলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে না?? সব বিভাগের সাথে প্রাইমারি সেক্টরের সমন্বয় নেয় কেনো??? এত তুচ্ছ!! এত অবজ্ঞা!!!! এত হীনমান্যতা!!! কেনো??? এখানে হাজার স্বপ্নে বিভোহিত তরুণকে শাস্তি দিচ্ছে এখানে এসেছ কেন?? এমন পশ্চাৎপদ বিভাগ যেখানে অফিস সহকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রী দেখে ব্যঙ্গ সুুরে হাসে।আমরা তো চায় নি মুখ ফুটে এসব বলতে।চেয়েছি সবার মত পদন্নোতি দেওয়ার এক্সাম।যেখানে সিনিয়রদের কিছু শর্ত সাপেক্ষে পদন্নোতির সুযোগ থাকবে।আর একদিন শিক্ষা অফিসার হয়ে শিক্ষক হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে সবার ভাল সেবা দিতে পারবে।আর স্কুলগুলোকে আনন্দে ভরা এক ফুল বাগানে পরিণত করতে পারবে।সত্যি বলছি বিশ্বাস করুন সিনিয়রদের প্রতি অগাধ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা আছে।আমার জুনিয়রদের জন্য একটা সুন্দর জায়গা তৈরি করতে চায়।এখানে সহকর্মী, উপরস্ত সবাই হবে সুন্দর ব্যক্তিত্ব আর চিন্তনের অধিকারী।কথা দিচ্ছি সুন্দর,সুস্থ আগামী প্রজন্ম উপহার দিব।আবারও বলি বিভাগীয় কোটা বহাল থাকুক।এ ক্ষেত্রে আমাদের মত শিক্ষকদের বিচরণ করতে দিন।
লেখকঃ
ফারজানা আক্তার
সহকারী শিক্ষক
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাশঁখালী,চট্টগ্রাম।
( কলামের লেখা, লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত)
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার