সোনারগাঁয়ে কনফিডেন্সের বিষাক্ত বর্জ্যে ২ লাখ টাকার মাছ নিধন
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ, ৩১ জুলাই ॥ সোনারগাঁয়ের নয়াপুর এলাকার কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড নামের কারখানার কতর্ৃৃপক্ষ সরকারি খালে বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি ফেলে পুকুরের ২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ জোর পূর্বক বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি সরাসরি খালে ছেড়ে দিচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকায় কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড নামের কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি সরাসরি খালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষাক্ত পানি পুকুরে ঢুকে নানাখী পূর্বপাড়া গ্রামের সুুরুজ মিয়া ও ইয়াছিন নামের দুই ব্যক্তির পুকুরের প্রায় ২ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, কয়েকজন প্রভাবশালী কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যোগসাজশে বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি সরাসরি খালে ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে কেউ বাধা দিলে হামলা ও মিথ্যা মামলার আসামি হতে হয়। এর আগেও কৃষকের ক্ষেতে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে কয়েক একর জমির ধানসহ অন্যান ফসল নষ্ট করে ফেলেছিলো খারখানার কর্তৃপক্ষ।
ভূক্তভোগী মোঃ সুরুজ মিয়া ও ইয়াছিন বলেন, ২৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ২০ লাখ টাকার মাছ চাষ করেছি। কনফিডেন্সের বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পুকুরে ঢুকে প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বাকি মাছ গুলো মরে যাওয়ার আশংখা রয়েছে। এ ঘটনায় কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা দেখা করেনি।
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা জানান, এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করার জন্য কারখানার কর্তৃপক্ষকে কয়েক বার সর্তক করা হয়েছে। বিষাক্ত পানি পুকুরে ঢুকে মাছ মারা গেছে বিষয়টি আমি জেনেছি। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলচ্ছে।
এ ব্যাপরের কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড নামের কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।