স্টাফ রিপোটারঃ
সোনারগাঁয়ের দুঃসময়ের বন্ধু ছিলেন তিনি। রেড জোন নারায়াণগঞ্জে করোনার ভয়ে যখন স্বজনরা ফেলে যেতো প্রিয়জনের লাশ তখন মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছিলেন একজন অকুতোভয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম। দেশে করোনা প্রাদূর্ভাবের শুরু থেকে যিনি সোনারগাঁওয়ের মানুষকে ঘরে থাকতে বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন, যিনি প্রতিদিন অন্তত ২ বার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাজারসহ উপজেলার অন্য সকল এলাকায় পুলিশ ও সসস্ত্র বাহিনী এবং নিজের গঠন করা স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন, লগডাউন ভঙ্গ করার কারণে চালিয়েছেন একের পর এক ভ্রাম্যমাণ আদালত, করোনা বিষয়ে হ্যান্ড মাইক দিয়ে দিনের পর দিন সবাইকে সচেতন করেছিলেন, করোনায় মারা যাওয়া, করোনা আক্রান্ত ও লকডাউনে থাকা পরিবারে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশু খাদ্য সহ সব ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বর্তমানে তিনি টাজ্ঞাইল সদর উপজেলায় কর্মরত আছেন। সেখানেও যৌন পল্লীর অসহায় মানুষ এবং বানভাষী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি অল্প কয়েকদিনে সাধারন মানুষের ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছেন।
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিতরণ করেছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নানান ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী। দিন নেই রাত নেই রোদবৃষ্টি মাথায় নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশের দাফনে কবর খোঁড়া সহ জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করেছেন, পরিবেশ উন্নয়নে করেছেন বৃক্ষরোপণ।
সোনারগাঁও যখন করোনার রেড জোন, তখন সোনারগাঁবাসী এমন একজন মানুষকে ভাগ্যজোরে যাকে পাশে পেয়ে ছিলেন, যার অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক সেই ইউএনও সাইদুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার সুস্থতা কামনায় অনেকেই নফল নামাজ আদায় ও রোজা রাখছেন বলে জানা যায়।
ইউএনও সাইদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও বাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।