আশরাফুল সিকদার, চীফ রিপোর্টার:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাঁশতৈল এলাকায় অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরোনো নয়াপাড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদ। মসজিদটির নামে বর্তমান রেকর্ড মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ শতাংশ। মসজিদটি পুনরায় মেরামত করা শুরু করলে বাধা হয়ে দাঁড়ান ফিরোজা ইয়াসমিন, পিতা: সাখাওয়াত হোসেন। ফিরোজা ইয়াসমিনের জমিও মসজিদের পাশেই। জানা যায়, ফিরোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে মসজিদের জমি সহ দখল নেয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে এবং সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, ফিরোজা তার জমি সহ মসজিদের জমি বাউন্ডারি করার জন্য কাজ করতেছে। পরে মসজিদের সদস্যরা কাজে বাঁধা দিলে ফিরোজা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান।
এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন, ফিরোজার খুটির জোড় কোথায় ?
মসজিদের জমি রক্ষার জন্য পরবর্তীতে মসজিদের পক্ষে ১৮ জন বাদী হয়ে ৯ জনকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল কোর্টে মির্জাপুর থানা সিনি: সহ: জজ আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। মো: নং- ৬৮/২০২০ ।জমির বিবরন – ৪২ নং খতিয়ানে ২২৪ শতাংশ জমি মূলে বাদীগন প্রাপ্য ১২৪.৭৬ শতাংশ। বাদীগনের ভাষ্যমতে ১২৪. ৭৬ শতাংশ জমির মধ্যেই মসজিদের ১৮ শতাংশ জমি। এই ১৮ শতাংশ জমির মধ্যেই মসজিদ সহ কবরস্থানো আছে।
মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কোর্ট থেকে মসজিদের পক্ষে ১৮ শতাংশ জমির আদেশ দিছে কিন্তু ফিরোজা সেটা অমান্য করে জোরপূর্বক প্রশাসন দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মসজিদের জমি সহ ১২৪.৭৬ শতাংশ জমি পাব। আমরা এতদিন দখলে ছিলাম কিন্তু ফিরোজা তার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের সকল জমি নেয়ার চেষ্টা করতেছে। যার কারনে আমরা ১৮ জন বাদী হয়ে বাটোয়ারা মামলা করেছি। কিন্ত মামলা চলাকালীন সময়েও ফিরোজা প্রশাসনের জোরে বাউন্ডারির কাজ করেই যাচ্ছে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার সহ সকলের দাবী, মসজিদের নামে ১৮ শতাংশ রেকর্ড আছে, তাই মসজিদের মেরামত কাজ করতে দেয়া হোক এবং মামলা শেষ হবার পূর্বে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হোক।
মামলার বিবাদী ফিরোজা ইয়াসমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মসজিদের জমি দখলের চেষ্টা করি নাই। আমি বাদীদের কাছে যে জমি পাব আমাকে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না ।তিনি আরো বলেন, আমি যদি বাদীদের কাছে জমি পাই তাহলে আমাকে বুঝিয়ে দিক, আর আমার কাছে যদি তারা জমি পায় তাহলে আমি দিয়ে দেব।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই।