বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে মান্নান উল্লেখ্য করেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের রূপগঞ্জের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। হামলায় এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মান্নান বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এই জালিম সরকারের রোষানলে পরে দীর্ঘদিন কারাগারের অন্ধকারে দিন কাটিয়েছেন। বর্তমানেও তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দেশের মানুষের সহায় সম্পদ এই সরকারের আমলা আর সরকারী দলের নেতাকর্মীরা লুটেপুটে খাচ্ছে। যারা এই দু:শাসনের বিরোধীতা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পেটোয়া বাহিনী যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছে তারা। যার প্রমাণ যুবলীগ ছাত্রলীগের হাতে একের পর হত্যা, গুম আর ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে অথচ একটি ঘটনারও কোন সুষ্ঠ বিচার করা হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। হামলায় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ অভিযোগ করে বলেন, রূপসীর খন্দকার বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে যখন প্রধান অতিথি বক্তব্য দিচ্ছেন তখন সরকার দলীয় অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গাড়ি, সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার, মোবাইল ভাঙচুর করা হয়েছে।