নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের সালাউদ্দিনের পরিবার বিএনপির রাজনীতি করেও আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে তার ছেলেরা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এ পরিবারের সদস্যদের অপকর্মের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে বিএনপির নেতা জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, লায়ন বাবুল ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ তার পরিবারে সদস্য আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালানোর ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি মারাক্তক ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে যে কেউ মুখ খুললেই সস্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা হামলা স্বীকার হতে হয়। অর্থের দাপটে এ পরিবারের সদস্যরা নানা অপকর্ম করেও সহজে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, সালাউদ্দিনের বড় ছেলে জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া সরকার পতনের আন্দোলন করে ২০১৮ সালে সোনারগাঁ থানায় ২টি বিষ্ফোরক, চেক প্রতারণারসহ একাধিক মামলা আসামি। তার মেঝো ছেলে লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী গত ১৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক তৈরি কারখানা শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পোশাক কারখানা চাকুরি ছাড়ার পর ১০/১২ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে কোটি টাকার মালিক বনে যান। এতে সর্বমহলে আলোচনা ও সমালোচনার পাত্র হয়েছেন তিনি। ঢাকায় বনশ্রীতে বহুতল ভবন, ইসলামপুরের চায়না মার্কেটে ৫টি দোকান ও তার নিজ গ্রামে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন আরো একটি বহুতল ভবন। তাদের এসব অর্থের দাপটে ২০১৬ সালে বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে সালাউদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে বারদী ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা করেন এ পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারদী এলাকার কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, তাদের অর্থের দাপটে কারনে তারা স্থানীয় মসজিদের ইমাম, ইউ’পি সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাক্তক ভাবে জখম করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে হামলা ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছে অনেকেই।
উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার জানান, সালাউদ্দিনের পরিবারের কোনো সদস্য আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, তাদের পরিবারের সদস্য বিএনপির রাজনীতি ও বিষ্ফোরক মামলা আসামি বলে আমরাও শুনেছি।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের ছেলে লায়ন বাবুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।