মাহমুদুল হাসানঃ আসছে আগামী মেয়র নির্বাচন। দুই দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল হাসান তুষার যেনো ভিন্ন মত পোষন করেছেন। মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মহিউদ্দিন এর ছেলে ফয়সাল বিপ্লব নৌকার প্রার্থী হবে বলে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত ২৬ ই অক্টোবর সেই প্রস্তুতি সভায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল হাসান তুষার তার লোকজন নিয়ে নৌকা প্রার্থীর বাসভবনে উপস্থিত হয় এবং সেখানে বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা মুখে যা বলি, কাজে ও তাই করি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামীলীগের লোকজন কে খুব সম্মান করি কিন্তু নব্য আওয়ামীলীগ দলের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের কাছে প্রার্থী ই বড় ব্যাপার প্রতীক বড় ব্যাপার না সেটা যে প্রতীক ই হোক।
তুষারের এলাকা ইসলাম পুর থেকে তার ভাই নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃনমূল ছাত্রদল। অনেকেই বলেছেন ছাত্রদল কি তাহলে আওয়ামী ছাত্রদল হচ্ছে নাকি এই নিয়ে হাসাহাসি ও হচ্ছে চায়ের দোকান গুলোতে।
এ ব্যপারে মোঃ শফিকুল হাসান বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে আমি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। অনেক ভোট পাওয়া সত্ত্বেও আমাকে জোর করে পরাজিত করা হয়। তাছাড়া আমার বড় ভাই মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এর দায়িত্ব পালন করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ৭ নং ওয়ার্ডের সকল উন্নয়নমূলক কাজ কর্মের সুবাদে এলাকার জনগণের মনের কথাগুলো আমার শুনতে হয়, বলতে হয়। ৭নং ওয়ার্ডের অবৈধ কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ এবং কিছু রাস্তাঘাটের উন্নয়নের স্বার্থে মুন্সিগন্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ এর অনুরোধে এবং পরামর্শ মোতাবেক মেয়র এর আমন্ত্রণে ওখানে যাই।
হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমার সাথে এই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক তুষার কোন আলোচনা পরামর্শ করেননি।এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর সেই সভায় যারা গিয়েছেন তারা সবাই জেনে বুঝেই গিয়েছেন।তুষার সেদিনের সভায়ই শুধু নয় তার পরে ২৬ অক্টোবর মেয়রের জনসভাতেও স্বশরীরের লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেটাও কি তার না জেনে যাওয়া?।
সে গতবারের পৌরনির্বাচনও মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের পক্ষে কাজ করেছিল। এর সত্যতা শহরের সবাই জানেন। অথচ শফিকুল হাসান তুষার নিজে দলীয় আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ছাত্রদলকে কলঙ্কিত করেছেন এখন সে কলংকের দায়ভার আমার উপরেও চাপাতে এই মিথ্যা বলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার