ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা নতুন কিছু নয়, তবে সে উত্তেজনার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মুশফিকুর রহিম। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের সঙ্গে বাঁচা মরার লড়াইয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হন তিনি।
খেলা চলাকালীন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে মেজাজ হারিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে। স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠেছিল তার! মুশফিকের এমন উদ্যত আচরণে ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা হতবাক করে দিয়েছে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। অনেকেই এই ঘটনার জন্য মুশফিককে দুষতে থাকেন।
অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই উইকেটের পেছন থেকে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে! ঘটন-অঘটনের এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় নিয়েই মাঠে ছাড়ে মুশফিকের দল। তবে জয় ছাপিয়ে অপেশাদার আচরণের কারণে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে থাকেন মুশি।
এ ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মুশফিক নিজেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাসুমের সঙ্গে একটি ছবিও দিয়েছেন মুশি। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে, প্রথমত, গতকালের ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আমার সব ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ইতোমধ্যে ম্যাচ শেষে আমার টিমমেট নাসুমের কাছেও ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানুষ হিসেবে আমি যেটা করেছি সেটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি কথা দিচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করব না।
বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের একটি ম্যাচে সতীর্থের সাথে মারমুখী আচরণের শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুশফিক খেলার মধ্যে নিজ দলের খেলোয়াড়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছে বলে দেখা গেছে।
মুশফিকের আচরণে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে।
চার ডিমেরিট পয়েন্ট হলে মুশফিককে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হবে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মুশফিককে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছে।
মুশফিকের আচরণ বিসিবির আচরণবিধির লেভেল-১ এ পড়েছে এই ক্ষেত্রে শাস্তি আনুষ্ঠানিক সতর্কতা থেকে শুরু করে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং মাহফুজুর রহমান এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান এই শাস্তি দেন মুশফিকুর রহিমকে।