মোঃ কাইয়ুম হোসাইনঃ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার শান্তিধারা এলাকায় নিরীহ আল আমীনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নিতে জালকুড়ি এলাকার ভূমিদস্যু গুলজার(৫০) এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭-০৯-২০২০ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে শান্তিধারা এলাকার সোহরাবের স্ত্রী নুরজাহান বেবী একই এলাকার জিয়া(৪৫) সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জন সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে আল আমিনের নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করে। এসময় ঘর ভাংচুরে বাঁধা দেয়ায় বিবাদীরা আল আমিন ও তার পরিবারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে লীলাফুলা জখম করে এবং এই জমিতে ভবিষ্যতে আসলে আল আমিন সহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে লাশ গুম করার হুমকি সহ বেঁচে থাকলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ফতুল্লা থানায় ভুক্তভোগী আল আমিন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর মোহাম্মদ আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি এমনকি অভিযোগের প্রায় ১৭ দিন পার হলেও ঘটনাস্থলে পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।
এ বিষয়ে এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল আমিনের অভিযোগ পেয়ে আমি ঐদিন রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। উভয় পক্ষকে থানায় বসে কাগজপত্র দেখে মিমাংসার জন্য আসতে বলি। পরবর্তীতে আল আমিন দুদিন থানায় এসে অপেক্ষা করার পরও বিবাদীরা আসেনি। বিবাদীদের কাগজপত্র কোর্টে জমা আছে বলে বিচারে বসতে কালক্ষেপণ করছে। তবে আমি উভয় পক্ষকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে চলতে পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল আমিন আরও জানান,ভূইগড় মৌজাস্থিত সিএস-২১৬,এসএ-২৮৫ ও আরএস-১৭৩খতিয়ানে সিএস ও এসএ-৪৯ ও আরএস- ১১৪ নং দাগে ৩.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করিয়া আমি দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছি। জমি ক্রয়ের পর থেকে স্থানীয় জালকুড়ি এলাকার ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ দালাল গোলজার শান্তিধারা এলাকার নুরাজাহান বেবি ও জিয়া গংরা জোরপূর্বক আমার দখলকৃত জমি দখল করার পায়তারা করে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানি ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে এর আগেও আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী(জিডি) করি।কিন্তু পুলিশ আজও পর্যন্ত আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এমতাবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য এবং আমার ক্রয়কৃত জমি রক্ষায় মানবতার মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার