বৃহস্পতিবার (১০/১২/২০২০ইং) ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের পক্ষ থেকে এক দিন ব্যাপী ‘স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩০ স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।
এই প্রশিক্ষনের তারা মাধ্যমে জানতে পারেন (১) কোভিড-১৯ মহামারীতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার এবং স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা (আলোচনা করেন ডাঃ মোস্তফা কামাল চৌধুরী আদিল) (২) সংক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা (আলোচনা করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স লায়লাতুল ফেরদৌস) (৩) রোগী ও তার পরিবারের সাথে স্বেচ্ছাসেবকের কথোপকথন এবং শারীরিক সেবাসমূহ (আলোচনা করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা আনজুম) (৪) মনোসামাজিক ও আধ্যাত্মিক সেবা এবং প্রিয়জন হারানোর বেদনা (আলোচনা করেন মো: শফিকুজ্জামান সৈকত) উক্ত প্রশিক্ষণের দ্বারা স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধির মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ কেয়ার রোগীদের সেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
২০৩ জন (মহিলা ১৩৫, পুরুষ ৭১) প্যালিয়েটিভ স্বেচ্ছাসেবক প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সাথে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন, এর মধ্যে রোগীর সেবা প্রদান, রোগী রেফার্ড, চ্যারেটিশপ পরিচালনা, পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার জানবো জানবো অনুষ্ঠান পরিচালন এবং নতুন ভাবে যুক্ত হল করোনা রোগীর সেবা প্রদান।
‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পটি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (NCC), ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হসপিস এন্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার এলায়েন্স (WHPCA), ইউকে এইড (UK AID) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BSMMU) প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ–এর যৌথ সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিরাময় অযোগ্য জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের যন্ত্রণা ও ভোগান্তি লাঘবে পরিচালিত হচ্ছে।
পৃথিবীতে বর্তমানে নিরাময় অযোগ্য রোগ বিস্তার লাভ করেছে, এ ধরনের নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষ ও তাদের পরিবারে সেবা সর্ম্পকে বিজ্ঞান সম্মত সার্বিক সেবার নামই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। নির্দিষ্ঠভাবে রোগ নিরাময়ের কোন চিকিৎসা না থাকলেও কষ্ট বা ভোগান্তি কমানোর অনেক উপায় আছে। এইসব রোগীর কষ্ট বা ভোগান্তি কমিয়ে রোগী ও তার পরিবারে জীবনের মান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২০১৮ থেকে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ কাজ করে যাচ্ছে।