সোনারগাঁ উপজেলার সর্বপ্রবীন ও জননন্দিত ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজল-চেয়ারম্যানের পরিবারকে নিয়ে আড়ালে বসে সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি বিশেষ মহল।
এমনটি দাবী করে সোনারগাঁ থানা বিএনপি কর্মী আবুল হাসনাত বলেন,
জননন্দিত আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক চেয়ারম্যান (ফজল চেয়ারম্যান) ।
সোনারগাঁ এর যে কোনো স্থানে শুধু এই নামটা বললেই হয় । আর কিছু বলতে হয় না । এতটুকুতেই সকলেই চিনে যায় যে , এটি কাঁচপুরের প্রবাদ পুরুষ ,সমৃদ্ধশালী কাচপুরের নির্মাতার নাম ।
জনগনকে ভালোবেসে , তাদের কল্যানের জন্য করে গেছেন সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি ।
সোনারগাঁয়ের শিল্প ও বানিজ্যে আজকের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা জনপদ হচ্ছে কাঁচপুর ।
এই একজন ফজলুল হক চেয়ারম্যান না থাকলে এই কাঁচপুর আজকের অবস্থানে এখনো এসে পৌছোতে পারতো না ।
১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সোনারগাঁ থানা । সোনারগাঁয়ের সাধারন জনগনের কাছে আর দশটা চেয়ারম্যানের নাম বলুন , দেখবেন নিজ ইউনিয়ন বাদে বড়জোর দু একজন চেয়ারম্যানকে চিনবে ।
কিন্তু ফললুল হক চেয়ারম্যানের নাম বলুন যে কোনো ইউনিয়নে সোনারগাঁয়ের , প্রত্যেকটা মানুষ চিনে ফেলবে যে , এটা কাঁচপুরের স্বপ্নদ্রষ্টার নাম , কাচঁপুরের উন্নয়নের বিশ্বস্ত এক নাম , এক ন্যায়বিচারকের নাম ।
আজকের এই কাচঁপুর টি কিন্তু আপনা আপনি এই অবস্থানে আসে নি । এই কাচঁপুরের পেছনে রয়েছে ফজলুল হক চেয়ারম্যান এর অসামান্য অবদান ।
এলাকাকে শিল্প সমৃদ্ধ করতে নিজের ভিটে জমিটুকু বিক্রি করে দিয়েছিলেন সিনহা সাহেবের কাছে , যেখানে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সিনহা টেক্সটাইল , আর সোনারগায়ের সব চেয়ে বেশী শ্রমিক নির্ভর টেক্সটাইল এখন সিনহা ।
সোনাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান এই ফজলুল হক চেয়ারম্যানের হাতেই গড়া ।
বর্তমানের ওমর আলী স্কুলের পেছনে এই ফজলুল হক চেয়ারম্যানের অবদানটাই সবচেয়ে বেশী ।
দলিল ঘেটে দেখুন , এই স্কুলটি কাঁচপুর হাই স্কুল নামে শ্রমিকদের ঘাম ঝড়ানো টাকায় কেনা হয়েছে , অথচ ওমর আলী এই স্কুলটার নাম পালটিয়ে নিজের নামে করেছে । এই ফজলুল হক চেয়ারম্যান না থাকলে এই স্কুলটা টিকে থাকতো কি না জানি না ।
শারমিন টেক্সটাইল মিলস মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এই ফজলুল হক চেয়ারম্যান ।
আজ কাচপুর ইউনিয়নে যত রাস্তাঘাট দেখতে পান , সবগুলো এই ফজলুল হক চেয়ারম্যানের হাতেই উন্নীত হয়েছে ।
কাঁচপুর ইউনিয়নে এমন কোনো মসজিদ ,মাদরাসা নেই , যেখানে এই মহান লোকটির অবদান নেই ।
বর্তমানে কাঁচপুরে ব্যবসা,বানিজ্য ,মিল –কারখানা স্থাপন করতে গেলে ক্যাডারদের চাদা দিতে হয় ।
অথচ ফজলুল হক চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে কোনো ব্যাবসায়ীকে,মিল মালিককে চাঁদা দেয়া লাগে নি ।
উনি কখনো মিল,কারখানা দখল করে খান নি , বরং ব্যবসা করে গেছেন , সিনহা টেক্সটাইলে যে ব্যবসা ছিলো তা টেক্সটাইলের মালিক জোরপূর্বকই তাকে দিয়েছিলেন।
এই মিলটি তৈরীতে নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে ফ্যাক্টরিটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য খুশি হয়ে সিনহা সাহেব তাকে ব্যবসা করতে দিয়েছিলো নিজের ফ্যাক্টরিতে ।
সব সময় মানব কল্যানে সময় কাটিয়েছেন। নিজের বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ বিক্রি করে করেছেন নির্বাচন ।
এই এক ফজলুল হক চেয়ারম্যানের সমর্থনেই হাজী মুসলিম খান ও কুতুবপুরের মতিউর রহমান চেয়ারম্যান হয়েছিলো ।
সবুর খান কাঁচপুরের চেয়ারম্যান হয়েছিলো একটি স্লোগানে , “ ৮৮ বন্যায়, সবুর তোমায় ভুলি নাই” অথচ এই বন্যায় প্রকৃত সহায়তা আসতো শারমিন মিলের ভেতর থেকে ।
আর তা দিতেন , এই ফজলুল হক চেয়ারম্যান ।
১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে সোনারগাঁয়ের ১ম এমপি হয়েছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম । অধ্যাপক রেজাউল করিমের এমপি হবার পেছনেও ছিলো এই ব্যক্তিটির অসামান্য অবদান ।
বিচার ,দরবার ,শালীশে কাঁচপুর ইউনিয়ন নয় কেবল , এর বাইরের ইউনিয়নে গিয়েও বিচার ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার করে দিয়ে আসতেন এই ফজলুল হক চেয়ারম্যান সাহেব ।
সোনারগাঁ থানায় বিএনপির এক ঐতিহ্যবাহী পরিবার হচ্ছে এই ফজলুল হক পরিবার ।
এই মানুষটা কতটুকু ত্যাগ করেছেন মানবতার জন্য , দলের জন্য ,ন্যায় নীতি ও আদর্শের জন্য তা শুধু নেতা কর্মী ও শুভানুধ্যায়িরাই নয় , সারা সোনারগাঁবাসী জানেন ।
আজীবন কাটিয়েছেন জনতার মাঝে মিশে থেকে ।
জনগনের সুখ দুঃখ বুঝতেন বলেই একাধারে ৬ বার নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান হিসেবে ।
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবেও পেয়েছেন স্বর্ণপদক ,
সেরা চেয়ারম্যান হিসেবে জয় করেছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা পুরষ্কার ।
আজীবন দলের জন্য লড়ে গেছেন ।
সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন মানুষকে ভালোবেসে।
পরিশেষে একটিই কথা,
আজ যে বা যারা গোপনে, আড়ালে থেকে সেই প্রজ্ঞাবান দূরদর্শী রাজনীতিবিদ ফজলুল হক চেয়ারম্যান পরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে তাকে ও তার পরিবারের মান ক্ষুন্ন করার নোংরা খেলায় মেতেছে তারা কখনোই সমৃদ্ধ মানষিকতার মানুষ নয়।
তারা নিন্দিত হয়েছে বারংবার,এবং নিন্দিত হবে ভবিষ্যতেও।