সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, ২১ মে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ২২ মে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ২৭ মে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট, ২৮ মে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগ পরিবর্তনের সমন্বিত ‘ঘ’ ইউনিট এবং ৫ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও আট বিভাগীয় শহরের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন্দ্র করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘ক’, খ, গ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।
ক’, ‘খ, গ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
ক’ ইউনিটে আবেদনকারীদের মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে অন্তত জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। একইভাবে ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০০, ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫০, ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০০ এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ আলাদাভাবে ৩.০০ থাকতে হবে এএসএসসি ও এইচএসসিতে।
প্রত্যেক ইউনিটের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ৬৫০ টাকা। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://admission.eis.du.ac.bd) এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভর্তির আবেদন ফির বিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবছর ঢাকার বাইরেও বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। তাই খরচও পড়বে অনেক। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা মাত্র ৬৫০ টাকা নেব। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সাবসিডি দিতে হবে। আগামী বছর থেকে এটা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হলে ভর্তির আবেদন ফি আরও কমে যাবে। তখন পাঁচশ টাকারও কম হবে।”
বিভিন্ন ইউনিটে আসন সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসন সংখ্যা আগেরটাই থাকবে। আসন সংখ্যার কোনো পরিবর্তন এবার হচ্ছে না।”
গত ‘ক’ ইউনিটে ১৭৯৫টি, ‘খ’ ইউনিটে ২৩৬৩টি, ‘গ’ ইউনিটে ১২৫০টি এবং ‘ঘ’ ইউনিটে ১৫৬০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। আর চারুকলা অনুষদের ‘চ’ ইউনিট আসন ছিল ১৩৫টি।
‘ঘ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১০৯৭টি, মানবিক বিভাগের জন্য ৫৩টি, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৪১০টি আসন বরাদ্দ ছিল।
অধ্যাপক সামাদ ছাড়াও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন।