সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ মো. সোহাগ রনি বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক গুরু সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ ভাই। তার স্নেহ ছায়ায়ই রাজনীতি করছি ও শিখেছি। আমার সোহাগ হওয়ার পিছনে সকল অবদান আমার মোশারফ ভাইয়ের। তাই ওনি যতই আমাকে অপছন্দ করুক, ওনার ছবি ব্যবহার করতে না করুক, আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওনাকে শ্রদ্ধা করে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে তার আমার ছবির উপরে ওনার ছবি ব্যবহার করবো।
গতকাল রবিবার বিকেলে মোগরাপাড়া কাঁচাবাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের এক সংবাদ সম্মেলনের পরিপেক্ষিতে সোমবার বিকেলে মোগরাপাড়া কাঁচাবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি সেই ছোট বেলা থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিবার আওয়ামীলীগ পরিবার। আমার বাবা দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি মরহুম হাসনাত ভাই ও মোশারফ ভাইয়ের আদর্শের রাজনীতি করেছেন। আমিও বর্তমানে তাদের আদর্শের রাজনীতি করেছি। রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করে এখানে এসেছি। আমার আজ এখানে আসার যে অবদান সেটা মোশারফ ভাইয়েরই। তিনি আমাকে ভাল না বাসলে আমি এখানে আসতে পারতাম না। সেই জন্য ওনাকে আমি আজীবন সম্মান করে যাবো। ওনি যদি আমাকে এখন নির্বাচনে সমর্থন নাও দেন আমি আশা করি আমি নৌকা প্রতিক পেলে ওনি আমাকে সমর্থন দিবেন। আর ওনার সমর্থন পাওয়ার জন্য যা যা করতে হয় আমি তাই করবো।
পোষ্টার ব্যবহার করার ব্যাপারে সোহাগ রনি বলেন, আমি যেহেতু ওনার আদর্শের রাজনীতি করি সেজন্য ওনি না বললেও আমি ওনার ছবি ব্যবহার করবো আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
তার লোকদের নেশার ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি আমাকে ভাল বলেছেন কিন্তু আমার সাথের কিছু লোক নাকি নেশাগ্রস্ত, তবে তিনি নেশা বলতে তিনি কিছু খোলাশা করেনি তবে আমার মনে হয় আমার যেহেতু খেলাধুলার নেশা রয়েছে সেহেতু আমার লোকদের বুঝিয়েছেন খেলাধুলা ও লেখাপাড়ার নেশা। ভাই যা মনে করেছেন সেটা বলেছেন।
সোহাগ আরো বলেন, বাবু ভাইও আমার বড় ভাই আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি। আমি যদি নৌকা প্রতিক না পাই তাহলে বিগত দিনে ভাইয়ের সাথে যেভাবে ছিলাম সেভাবেই থাকবো। আমি যেহেতু রাজনীতি করি আমারও চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। আমার মতো করিম সাহেবও এখান থেকে নৌকা প্রতিক চাচ্ছে। এটা দোষের কিছু না। সবশেষে আমি ভাইদের আদেশ উপদেশ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার