ঠিক যেন ফিরে এলো আহমেদাবাদ টেস্টের স্মৃতি। যেখানে মাত্র দুই দিনেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। এবার আবুধাবিতে দেখা গেল দুই দিনের টেস্ট। সেখানে আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে ১০ উইকেটে জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান অল আউট হয়েছিল মাত্র ১৩১ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করে ২৫০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে ভীষণ বিপদে পড়েছিল আফগানিস্তান। এক সময় মনে হচ্ছিল ইনিংস ব্যবধানে হারবে দলটি। তবে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত লিড নিতে পারে দলটি। ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১৭ রানের। এমন লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে ছুঁয়ে ফেলে বিনা উইকেটে ৩.২ ওভারে।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস।
প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৩৩ রান। বুধবার দ্বিতীয় দিনে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরিতে ২৫০ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ১৭৪ বলে ১০৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার। টেস্ট ক্রিকেটে শন উইলিয়ামসের এটি তৃতীয় শতক।
৭১ বলে ৪৪ রান করেন রেগিস চাকাভা। ৪৩ রান করেন সিকান্দার রাজা।
বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে ৬টি উইকেট নেন আমির হামজা। জহির খান দুটি, জাদরান ও আহমেদজাই নেন একটি করে উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ভিক্টর নাউচি আর মুজারাবানির পেস তোপে মাত্র ২১ রানে ৫ উইকেট হারায় দলটি। আব্দুল মালিক, রহমত শাহ, আফসার জাজাই রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মুনির আহমেদ ১, হাসমাতউল্লাহ শাহিদি ৪ রান করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও অধিনায়ক আসগর আফগান। কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারেননি তারাও। দলীয় ৪৭ রানে বিদায় নেন আফগান অধিনায়ক। মুজারাবানির বলে তিনি হন বোল্ড। ১৫ বলে তিনি করেন ১৪ রান।
সপ্তম উইকেটে আব্দুল ওয়াসির সাথে ৩৪ রান যোগ করেন ইব্রাহিম জাদরান। বড় জুটি অষ্টম উইকেটে। যেখানে ইব্রাহিম ও বোলার আমির হামজা যোগ করেন ৪৮ রান। ১৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন আমির হামজা।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে ভিক্টর নাউচি ও ডনাল্ড তিরিপানো তিনটি, মুজারাবানি দুটি, শন উইলিয়ামস একটি উইকেট লাভ করেন।
দুই টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। ১০ মার্চ থেকে একই ভেন্যুতে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার