কাইয়ুম হোসাইন:-ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট নাজমুল হুদার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পরিবহণ শ্রমিকরা। বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। আর এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার পরিবহণ এবং সবচেয়ে বড় সড়ক হওয়ায়, থ্রী হুইলার চলাচল সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ করা হয়।
এই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয় কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের। আর ব্যস্ততম সড়ক কে কাজে লাগিয়ে গরীব অসহায় থ্রী হুইলার ও রাতে পণ্যবাহী গাড়ী থামিয়ে নিরব চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে।
গত ২৪শে এপ্রিল রাত মানুমানিক ১২টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়কের মদনপুর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে (যার নং- ঢাকা মেট্রো ট – ২৪-১৩৯২) কাগজ দেখার নামে কনেস্টেবল দিয়ে টাকা দিয়ে মিমাংসার অফার করেন এবং (৫০০০)প্রতি গাড়ী থেকে পাঁচহাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানান সার্জেন্ট নাজমুল হুদা। কাজগপত্র ঠিক থাকা সত্বেও অসহায় গাড়ী চালক তার কাছে থাকা ১৭০০ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু (৫০০০)পাঁচহাজারের নিচে হবেনা জানিয়ে ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ী থামিয়ে রাখে। সে ড্রাইভার কে টাকা না দিলে গাড়ী ডাম্পিং করবে বলে জানায় এবং পরে বিশহাজার টাকা লাগবে বলে জানান। পরে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ড্রাইভার থেকে বক্তব নিয়ে সার্জেন্ট নাজমুল হুদার কাছে জানতে চাইলে সে বলে টাকা ড্রাইভার দিতেই পারে। নাস্তা করার জন্য। এসময় তাড়াহুড়ো করে সাংবাদিকদের সামনে থেকে ট্রাকটি ছেড়ে দিয়ে পরে সে ট্রাকটি ৪কিলোমিটার দুরে গেলে আবার থামিয়ে ড্রাইভার থেকে জোড়করে একটি ভিডিও ধারন করে, সে কেনো টাকা চায়নি বলে একটি ভিডিও করেন। সাথে সাথে এসব বিষয় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজামান কে অবহিত করা হলে সে এই বিষয়ে হাইওয়ে থানার এসপির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। কিন্তু ঘটনার ২দিন পার হলেও অভিযুক্ত নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান।
অন্যদিকে ২৮তারিখ পর্যন্ত সরকারি ভাবে গনপরিবহন বন্ধ রাখে সরকার। তবে রাস্তা ফাকা পেয়ে এই সুযোগে শিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী থেকে অধিক ভাড়া নিয়ে হানিফ পরিবহণ যার নাম্বার প্লেট নং- ঢাকা মেট্রো ব- ১৪- ৩৯২৪ নামে একটি বাস মদনপুর আসলে গাড়ীটি আটক করেন সার্জেন্ট নাজমুল হুদা। সে একেই কায়দায় কাগজ দেখতে চেয়ে টাকা নিয়ে গাড়ীটি ছেড়ে দেন।
অনেক অসহায় নিরিহ থ্রী হুইলার ড্রাইভার জানান যে সার্জেন্ট নাজমুল হুদা তিনচাকার অটো মিশুক রিকশা সিএনজি সহ থ্রী হুইলার ধরে থানায় না নিয়ে, সরকারি নির্দিস্ট মামলা প্রদান না করে, আলাদা ভাবে রাস্তায় রেখে ও ডাম্পিং এর খালি যায়গায় রেখে বাড়ীতে ড্রাইভার কে পাঠায় টাকার জন্য।
দাবীকৃত টাকা আদায় করে থ্রী হুইলার ছেড়ে দেন।একজন স্থানীয় চালক জানান, সার্জেন্ট নাজমুল হুদার বাড়ী নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় সে সুবাধে সে পরিবহণ জোড়পূর্বক জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের এসপি আলী আহম্মেদ খাঁন জানান, আমার হাইওয়ে পুলিশে যে অপধার করবে সে অপরাধের শাস্তি অবশ্যই ভোগ করবে। এ বিষয়ে কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে কোন কিছু জানাননি।আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।সার্জেন্ট নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।