সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের সালাউদ্দিনের তিন ছেলে তিন দলের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঐ পরিবারে সদস্য লায়ন বাবুল আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। এতে উপজেলাসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন বিএনপি জামাতের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করে একাধিক মামলার আসামী হয়েছেন। এদিকে তার আরেক ছেলে লায়ন বাবুল স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার হাত ধরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে র্দীঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে লায়ন বাবুল জাতীয় পার্টির রাজনীতি ছেড়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কিছু নেতার সাথে সক্ষতা তৈরি করে নৌকার মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে লায়ন বাবুল জেলা ও উপজেলার কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। লায়ন বাবুলের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম সরকার দলীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী কায়সার হাসনাতের পক্ষে মাঠে প্রচার-প্রচারনা করেছেন। ২০১৫ সালের ইউপি নির্বাচনে আমিনুল ইসলাম সরকার বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী জহিরুল হকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। ছোট ভাইয়ের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ভরাডুবির কারনে ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কে সড়িয়ে লায়ন বাবুল আসন্ন বারদী ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে নিজেই প্রার্থী হয়েছে। এমন পরিবারের রাজনীতির নাটকীয়তার ঘটনায় সর্বস্তরের মাঝে তৈরি হয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজগর বলেন, লায়ন বাবুলের বড় ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া আমাদের সাথে একাধীক মামলার আসামি হয়েছে। এই পরিবার যদি কোন দলের পরিচয় দেয় তাহলে বিএনপির পরিবার হিসেবে মানুষ চিনে।
বারদী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ২৬ বছর ধরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কোন দিন দেখি নাই লায়ন বাবুল আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন। কিন্তু তার ছোট আমিনুল ইসলাম আওয়ামীলীগের রাজনীতি সাথে জরিত। কিভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ পেয়েছে তা আমরা ভেবে পাচ্ছি না। তার পিতা ও বড় ভাই বিএনপির রাজনীতি করতেন।
বারদী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি। লায়ন বাবুল কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। নতুন করে লায়ন বাবুল আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের সাথে সক্ষতা তৈরি করে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়েছেন। কিভাবে লায়ন বাবুলের মত লোক উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ পেলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার