মিরপুরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল তামিম ইকবালের দল।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ছয়টি দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতার কীর্তি ছিল বাংলাদেশের। আক্ষেপ ছিল কখনও শ্রীলঙ্কাকে না হারানোর। মঙ্গলবারের (২৫ মে) জয়ে দীর্ঘদিনের সেই আক্ষেপ ঘুচেছে টাইগারদের। এর আগে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারের স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল।
‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক দল। মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত শতকে ৪৮.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান জড়ো করে বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক হাঁকানোর দিনে ব্যাট হাতে মুশফিক বলতে গেলে একাই লড়েছেন। ১০টি চারের সহায়তায় ১২৭ বলে ১২৫ রান করে লঙ্কানদের শেষ শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এছাড়া আগের ম্যাচের আরেক হাফ-সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১ রান করেন ৫৮ বলের মোকাবেলায়। চাপের মুখে তার ইনিংস বড় ভূমিকা রেখেছে দলীয় সংগ্রহে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে এদিন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন দুশমন্থ চামিরা ও লক্ষণ সান্দাকান। দুটি উইকেট শিকার করেন ইসুরু উদানা।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৪ রানে সফরকারী অধিনায়ক কুশল পেরেরাকে হারায় লঙ্কানরা। অভিষিক্ত শরিফুল ইসলামের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন স্বাগতিক দলপতি তামিম ইকবাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। শক্ত হাতে দলের হাল ধরে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান।
৯ উইকেট পতনের পর বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লঙ্কানদের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ৪০ ওভারে লঙ্কানদের করতে হত ২৪৫ রান। শেষপর্যন্ত ৪০ ওভার ব্যাট করে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ১৪১ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান দুটি ও শরিফুল ইসলাম একটি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ২৪৬/১০ (৪৮.১ ওভার)
মুশফিক ১২৫, রিয়াদ ৪১, লিটন ২৫
চামিরা ৪৪/৩, সান্দাকান ৫৪/৩, উদানা ৪৯/২
শ্রীলঙ্কা: ১৪১/৯ (৪০ ওভার) (ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪০ ওভারে লক্ষ্য ২৪৫ রান)
গুনাথিলাকা ২৪, নিসাঙ্কা ২০, উদানা ১৮*
মুস্তাফিজ ১৬/৩, মিরাজ ২৮/৩, সাকিব ৩৮/২, শরিফুল ৩০/১
ফল: বাংলাদেশ ১০৩ রানে জয়ী (ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে)।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার