মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধোপাজান বালুমহালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে হার্ডলাইনে প্রশাসন প্রতিদিন চলবে অভিযান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জয়নাল আবেদীনসুনামগঞ্জের চলতিনদী ধোপাজান বালুমহালে অবৈধভাবে বালু ও পাথর তোলায় বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেডের মালিকদের এবং বালুখেকোদের কালোতালিখার অন্তঃভূক্তকরে তাদের বিরোদ্ধে কঠিন আইনানোগ ব্যাবস্হা গ্রহন করবে প্রশাসন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে ধোপাজান চলতিনদীতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বাল্কহেটনৌকা কে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তো নৌকার প্রকৃত মালিক পাওয়া যায়না নৌকায় মাঝি ও লেবার পাওয়া যায়। এবার নৌকার মালিক এবং প্রকৃত বালু ব্যাবসায়ীদের তালিখা করা হবে। চলতিনদী ধোপাজান বালুমহালটি জেলার সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাজুড়ে পড়েছে। মহালটি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় ২০১৮ সাল থেকে মহালের ইজারা বন্ধ আছে। এ সুযোগে কিছু লোক মহাল থেকে দিনে ও রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে।নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করায় চলতিনদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ও টাস্কফোর্সের অভিযান হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
বুধবার সকালে বিস্বম্ভরপুর ধোপাজান চলতিনদীর জিনারপুর বাজার সংলগ্ন চলতিনদীতে আকস্মিক পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জয়নাল আবেদীন। এসময় বিস্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিত তালুকদার নদীতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আটককৃত বাল্কহেটনৌকা ও জব্দকৃত ড্রেজারমেশিন দেখান।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জয়নাল আবেদীন চলতিনদীর পাড় সংলগ্ন স্হানিয় জনসাধারনের সাথে আলাপকালে বলেন ধোপাজান চলতিনদী সরকারিভাবে লিজ নাই বালুমহাল হিসাবে ঘোষনাও নাই তাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে নদীর তীরবর্তী মানুষের বিপদ আসন্ন তাদের ঘরবাড়ী জায়গা জমি সব ভেঙ্গেযাবে আমরা প্রশাসন এ বিষয়ে হার্ডলাইনে আমরা কোন ভাবেই চাইনা চলতিনদীতে অবৈধভাবে বালুউত্তোলন হোক।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার