আশিকুজ্জামান মিজান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ এর গফরগাঁও উপজেলার খারুয়া বড়াইল গ্রামে গত বুধবার রাতে এক গৃহবধুর পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের দিলরুপা আক্তার (৩০)। নিহতের শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের দাবী রওশন আরা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে নিহতের বোন লিখা আক্তারের দাবী তার বড় বোনকে পরিকল্পিতভাবে মারপিট করা হয়েছে। এদিকে বিষয়টিকে ধাপাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
জানা গেছে, উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে রাওনা ইউনিয়নের খারুয়া বড়াইল গ্রামের মোলায়েম মাষ্টারের স্বশিক্ষিত ছেলে ডুবাই ফেরত মনিরুজ্জামান ওরফে মানিক দিলরুপাকে প্রায় নয় মাস আগে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে দিলরুপার ওপর নির্যাতন চালানো হতো।
সম্প্রতি স্বামী মানিক তার স্ত্রীকে গত বুধবার রাতে তুচ্ছতাছিল্ল ও গালমন্দ করায় স্ত্রী তার গালমন্দ কে প্রতিবাদ করার অপরাধে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। এমনকি তার স্ত্রীকে পিটিয়ে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেয়ের বাবা গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দিলরুপা দুই দিন পর হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে মারা যান।
দিলরুপার বাবার অভিযোগ করে জানান, গত বুধবার রাতে তার মেয়েকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে বিষ খাওয়ার অপপ্রচার করা হয়েছে। রাতেই তাদেরকে না জানিয়ে দিলরুপাকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে স্বামীর বাড়ির লোকজন দিলরুপা বিষপানে আত্মহত্যার গুজব রটিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। একইসাথে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দিলরুপা বিষপানে আত্নহত্যা করেছে বলে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নিহতের বোন লিখা আক্তার বলেন, আমার বোন দিলরুপা আপার শরীরে পেটানো জখমের দাগ রয়েছে। এব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।