সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বৈদ্যেরবাজার ঘাটের খুব নিকটবর্তী এলাকায় একটি খালের উপর ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল দশায় পড়ে আছে। একাংশ ধসে যাওয়ায় মানুষ ও যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজটির রেলিং অনেক আগেই ভেঙে উধাও হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি এ অবস্থায় থাকলেও এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। ব্রিজ সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও এ ব্যাপারে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আজ ২২ জুলাই ঈদের পরদিন সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের শাহাপুর এলাকার এই ব্রিজটির আরেকটি অংশ ভেঙে গিয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির মাঝখানের একটি বড় অংশ ধসে বিশাল গর্ত তৈরি হওয়ায় এ সেতু দিয়ে চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে লোহা স্টিলের প্লেট বসিয়ে কোন রকম যানবাহন চলাচল করছে। এর উপর আরেক অংশ ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের সমস্যা হচ্ছে।
যেকোন সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এব্যপারে সোনারগাঁয়ে জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্লেখ্য ব্রিজটি থেকে কয়েক’শ ফুট সামনে গেলেই মেঘনা নদীর তীরে বৈদ্যেরবাজার ঘাট, যেখানে প্রতিদিন নদীর অপর প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এ প্রান্ত দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে।
শুধু তাই নয়, প্রতিদিন ঐতিহাসিক এই ঘাটে মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা মাছের বাজার বসাচ্ছে। এলাকার মানুষসহ এই ব্রিজটি দিয়ে শতশত যানবাহন চলাচল করছে। ব্রিজের উপারে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে,যাদের মালবাহী বড়বড় লরি/ট্রাক এই ব্রিজের উপর দিয়েই চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। সেতুটির কয়েকটি অংশ ধসে যাওয়ার পাশাপাশি পুরো ব্রিজে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মোসলেউদ্দিন জানান, এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তা ছাড়া এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ও কোম্পানির মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয়। এই ব্রিজটি জরাজীর্ণতার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে চলাচল করছে।
এ ব্যপারে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ আবদুর রউফ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙা ব্রিজ দিয়ে যানচলাচল খুবই ভয়াবহ। বিষয়টি নিয়ে উপর মহলে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।