টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছিল বাংলাদেশ দল। খেলতে চেয়েছিল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। কিন্তু টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো আর ‘হাতের মোয়া’ নয় যে চাইলেই সব পাওয়া যায়!
প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর সুপার টুয়েলভে খেলতে পারা না পারার শঙ্কা জেগেছিল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরাই সে শঙ্কা ধুয়ে–মুছে উঠেছে সুপার টুয়েলভে। কিন্তু তারপর তো সেই একই চিত্র। সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের কাছে হারে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন।
পঞ্চম ওভারে নাসুম আহমেদ জস বাটলারকে না ফেরালে ইংল্যান্ড হয়তো আরও দ্রুত রান তুলতে পারত। ১৮ বলে ১৮ রানে মোহাম্মদ নাঈমকে ক্যাচ দেন বাটলার।
বাকি কাজটা ভালোই সারছিলেন জেসন রয় ও ডেভিড ম্যালান। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। ১৩তম ওভারে শরীফুল ইসলামকে উইকেট দেন রয়। এরপর জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডকে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দেন ম্যালান।
মালান ও রয়ের ব্যাটিং দেখেও শিখতে পারে বাংলাদেশ—যেহেতু প্রায় প্রতিটি হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ‘হার থেকে শিক্ষা নেওয়া’র কথা বলা হয়। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে রয় বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের একজন।
কিন্তু জোর করে কোনো শট খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। যে বলে যা প্রাপ্য কিংবা নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রেখে প্রতিটি বল থেকে যতটা সম্ভব রান বের করা—এই ধারায় ৩৮ বলে ৬১ রান করে আউট হন রয়। ৩ ছক্কা ও ৫টি চার মারেন এ ওপেনার।
টি–টোয়েন্টিতে ম্যালান ধ্বংসাত্মক হলেও আজ একটু রয়ে–সয়ে ব্যাট করেছেন। লক্ষ্যটা সহজ হওয়ায় কোনো তাড়াহুড়ো করেননি। ৩ চারে ২৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি। রয় আউট হওয়ার পর জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৮ বলে ১৪ রানের জুটি গড়েন ম্যালান।
ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করেছেন এ বাঁহাতি—যার ছিঁটেফোঁটাও দেখা যায়নি এ ম্যাচে আগের ইনিংসে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ২৬ রানে ১টি করে উইকেট নেন নাসুম ও শরীফুল।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার