নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সাইফুল ইসলাম পলাশ জানান,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি।বর্তমানে আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ সভাপতি ও বন্দর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি হিসেবে ন্যায় নিষ্ঠা ও আদর্শের সাথে রাজপথে রাজনীতি করে যাচ্ছি। বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা এলাকায় আমার বাড়ির পাশের একটি জমি আমার নামে নামজারী, খাজনা, খারিজ সব থাকার পরও জোরপূর্বক দখলে নিতে স্থানীয় দাঙ্গাবাজ ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত মনির হোসেন ও তার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিসে বসে কাগজপত্র এবং দখল দেখে আমার পক্ষে রায় দেয়ায় সে থাকায় সবাই তার লোকজন নিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়।এসময় কাজ বন্ধ করার কারণ জিজ্ঞেস করলে মনির ও তার পরিবারের নারী পুরুষ ও ভাড়াটিয়া কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকজন আমার কাজের লোকদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।আমাকে হেনস্তা করার জন্য আদালতে গিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করে।পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাহেব।মামলার তদন্ত করতে এসে আমার সকল কাগজপত্র ও দখল দেখে আমার পক্ষে কোর্টে প্রতিবেদন পেশ করেন।পরবর্তীতে কোর্টে আমার সকল কাগজপত্র আমি পেশ করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাবাজ মনিরের মিথ্যা মামলাটি খারিজ করে আমার পক্ষে রায় দেন।
কোর্টের রায় পেয়ে আমি আমার জমিতে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে গেলে লোভী মনির হোসেন ও তার পরিবারের নারী পুরুষ এবং তার কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আমার শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে লীলা ফুলা জখম করে।এদিকে সে নিজে অপরাধ করে স্থানীয় কিছু হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে যাচাই বাছাই ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা।এই মহান পেশাকে কলঙ্কিত করছে এমন কিছু অসাধু হলুদ সাংবাদিকরা।আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের আগে অবশ্যই আমার বক্তব্য নেয়া দরকার ছিলো এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে লিখতে গেলে কাগজপত্র যাচাইয়ের দরকার ছিলো।আমার পক্ষে আদালতের রায় এবং জমি দখলে থাকার পরও আমার বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করায় আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সেই সাথে এই প্রতারক মনিরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এসপি জনাব জায়েদুল আলমের কাছে আমি ন্যায় বিচার দাবি করছি।আদালতের রায় থাকার পরও কেনো আমাকে হেনস্তা এবং মানহানি করা হলো?আমি এর বিচার চাই।
আমার আদালতের রায়ের কপি ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার এসপির কার্যালয়,অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও বন্দর থানায় পৌছে দেয়া হয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে আওয়ামীলীগের একজন সৈনিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার