নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷ তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক৷ এই অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, মাসুম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সামছুল আলম৷ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ,জ্ঞাত বহির্ভূত আয়সহ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দুদক পেয়েছে সেসবের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রয়োজন৷ এজন্য আগামী ১৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে৷ সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। একই সাথে মাসুম চেয়ারম্যানের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী, আয়ের উৎস, আয় করের রিটার্ণ এবং বক্তব্যের স্বপক্ষে দালিলিক প্রমানাদিও চেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্ধারিত তারিখে এসব কাগজপত্র নিয়ে আসার কথা বলেছে দুদক।
গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাসুম আহম্মেদ৷ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও অংশ নেবেন তিনি৷ এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান মাসুম৷ স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনোনয়নের জন্য গঠিত তালিকায় তার নামও কেন্দ্রে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ বলেন, দুদকের কোনো চিঠি পাইনি৷ তারা ডাকলে যাবো৷ যা তথ্য চায় তা দেবো৷ দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের এইসব অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক৷ আমাকে হয়রানি করতে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা দুদকে এমন অভিযোগ করেছে।
তিনি জানান, মাস দুয়েক পূর্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্য চাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেও তিনি তথ্য দিয়েছেন৷ প্রয়োজনে দুদকেও যাবেন৷
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার