সাগর বাদশা, ভোলা-প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে “কু-প্রস্তাব” দিয়েছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে আটকে রেখে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের “অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম নূরানী হাফেজী ও এতিমখানার” শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের আলমগীর (৬৫) যমুনা কলনীর পাশের জমিতে চাষাবাদ করে বাড়ি ফেরার সময় কলোনির কিছু বখাটে লোক ও ইব্রাহিমের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে বলে অভিযোগ করে মারধোর করেন। এর পর মাদরাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কিছু না জেনে শুনেই জন সম্মুক্ষে কৃষক আলমগীরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটক রাখেন এবং দাবি করেন ছাড়িয়ে নিতে হলে লাগবে ৩০হাজার টাকা। তবে স্থানীয়রা সাইফুলের এই অমানবিকতা সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসা বাজার থেকে প্রায় দু’শ জন সাইফুলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ভিকটিমের মা বাবার কাছে গিয়ে এমন ঘটনার সত্যতা না পেয়ে তালাবদ্ধ আলমগীরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন স্থানীয় মেম্বার মোঃ ফরহাদ হোসেন নিরব এর দায়িত্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর।
স্থানীয়রা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন সাইফুল মাদ্রাসায় চাকরি করে তিনি হয়ে উঠেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ তার বিরুদ্ধে রয়েছেন মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ সম্প্রতি এমন আরো বহু অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে অসহায় নিরীহ মানুষের উপর এসব অপকর্ম করে আসছেন দিনের পর দিন দেখারও নেই কেউ। এদের রয়েছে সংঘবদ্ধচক্র।
এসব বিষয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।