সাগর বাদশা, ভোলা প্রতিনিধিঃ ঢাকা-বেতুয়া নৌ-রুটে চলাচল করা কর্ণফূলী-১২ লঞ্চের এক চাকরি প্রার্থী যাত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে লঞ্চ স্টাফ ও ঘাট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোরে ভোলার লালমোহনের মঙ্গল সিকদার লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই যাত্রী তজুমদ্দিন উপজেলার গুরিন্দা এলাকার সালামতের ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরে একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছেন কর্ণফূলী লঞ্চে করে। সদরঘাট থেকে চারশত টাকা ডেক টিকিট বলে লঞ্চে তুলে স্টাফরা। এরপর ঘাটে পৌছালে তার থেকে সাড়ে চারশত টাকা দাবী করে লঞ্চের সুপারভাইজার আলমগীর। এসময় যাত্রী সাইফুল এর প্রতিবাদ করলে তার ওপর অর্তকিত হামলা চালায় লঞ্চের স্টাফ ও ঘাট শ্রমিকসহ অন্তত ৭-৮ জন। তাদের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয় যাত্রী সাইফুল ইসলাম। বেধড়ক মারধর করে এক পর্যায় তাকে ছেড়ে দেয় লঞ্চ স্টাফ ও ঘাট শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে লঞ্চের সুপারভাইজার আলমগীর বলেন, ওই যাত্রী ভাড়া দিতে রাজী না হওয়ায় তার সাথে কথা বাড়াবাড়ি হয়। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না।
এদিকে, ঘটনার সময় উপস্থিত যাত্রীরাও কর্ণফূলী-১২ লঞ্চের স্টাফদের এমন কান্ডে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েন। তারা দাবী করছেন, কিছুদিন পর পরই যাত্রীদের সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচারণ করে লঞ্চের স্টাফরা। এমনকি লঞ্চ স্টাফদের আচারণ দেখলে মনে হয় ঢাকা-বেতুয়া নৌ-রুটের ত্রাস কর্ণফূলী-১২ লঞ্চ। এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সাধারণ যাত্রীদের।
কর্ণফূলী-১২ লঞ্চের মালিক সালাহউদ্দিন মিয়ার ব্যবহৃত ০১৭১১৩২৫৬৭১ এ নাম্বারটিতে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নাম্বারটি ব্যস্ত বলায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও তার বক্তব্য চেয়ে ওই নাম্বারে এসএমএস করা হলেও তিনি কল কোন রেন্সপন্স করেননি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) এর ভোলার পোর্ট অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের আচারণ করতে পারে না। যদি করে থাকে, তাহলে তারা এটি ঠিক করেনি। আমরা ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার