৮ এপিবিএন পুলিশ কর্তৃক এফডিএমএন (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প-১৮ তে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ৬ হত্যা মামলার অন্যতম মূল আসামী (হত্যাকারী) গ্রেফতার
এফডিএমএন (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প-১৮ তে গত ২২ অক্টোবর ২০২১ এ গভীর রাতে একটি সংঘবদ্ধ এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারী দলের নৃশংস হামলায় ৬ জন নিরপরাধ এফডিএমএন সদস্য নিহত হন। তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিবিআইসহ এপিবিএন পুলিশ মামলাটির রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
গত ০৬ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন জানতে পারে যে, কিছু দুষ্কৃতিকারী নাশকতামূলক কর্মকান্ড সাধনের লক্ষ্যে এফডিএমএন ক্যাম্প-০৯ এর সি/১১ ব্লকে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে, ৮ এপিবিএন এর কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান পিপিএম এর নির্দেশে পানবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরান হোসেনের তত্ত্বাবধানে গত ০৬ ডিসেম্বর ০১.৪০ ঘটিকায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে একটি চৌকস পুলিশ দল উল্লিখিত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারী মোহাম্মদ জানে আলম (২৫), পিতা- মোহাম্মদ সলিম, ব্লক- সি১৭, ক্যাম্প-৯, এফসিএন নং-১১৫১৯৮ কে একটি দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেন। এসময় কিছু এফডিএমএন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত জানে আলম কে এপিবিএন কর্তৃক উপর্যুপরি জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এসময় সে লাশের ছবি দেখে সনাক্ত করে যে ধারালো ছুরির দ্বারা পেছন থেকে আঘাত করে রাতে মাদ্রাসার মসজিদে অবস্থান করা এফডিএমএন সদস্য ইব্রাহিম (২০), পিতাঃ হাবিবুল্লাহ, ব্লক-এ/৩৮, ক্যাম্প-১৮ কে হত্যা করে মর্মে জানায়।
উল্লেখ্য যে, আলোচিত ৬ হত্যার পর থেকেই ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং খুনীদের গ্রেফতারে তৎপর হয়ে এ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করে। সর্বশেষ জানে আলম কে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হলে সে বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এসময় ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন উখিয়া, কক্সবাজার এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো: কামরান হোসেন জানান, জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।