সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম: নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে জয়ী হয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর সমর্থককে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে জয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সনমান্দী ইউপি ৪নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালেরকান্দি গ্রামে।
নিহতের নাম নয়ন মিয়া (৩০), সে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারুবদী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নিহত নয়ন মিয়ার স্ত্রী মানছুরা আক্তার জানান, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন ও ফিরোজ আহমেদ। তার স্বামী নয়ন মিয়া ফিরোজ আহমেদ এর পক্ষে নির্বাচন করেন। নির্বাচনের আগেই তার স্বামীকে দেলোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন জয়ী হওয়ার পরই তার স্বামী তাদেরকে নিয়ে পাশ্ববর্তি বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারবদী আসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের আর ফেরেনি। রাতভর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে সকালে সাজালেরকান্দি রাস্তার পাশে তার লাশ দেখতে পাই এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দাবি জানান তিনি। নিহত নয়ন মিয়ার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন।
এ দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও লোকজন জড়ো হলে সেখানে দেলোয়ার হোসেন সেখানে উপস্থিত হলে স্থানীয় গ্রামবাসী হত্যার সঙ্গে দেলোয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ এনে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশের সামনেই মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নয়ন মিয়ার ভাই ওমর ফারুক জানান, দেলোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য জয়ী হওয়ার পরই বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমার ভাইকেও তার পক্ষে নির্বাচন না করার কারনে কয়েক বার হুমকি ধামকি দেন। শুক্রবার তার ভাই ভাড়া বাসা থেকে চাউল নেওয়ার জন্য বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পরে রাতে আর তাদের বাড়ীতে ফেরেনি সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন।
এলাকাবাসী জানান, দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে ইউনিয়ন সেচ্চাসেবকলীগ এর সভাপতি এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার ভাই মোতালিব মাস্টার এর ছত্রছায়ায় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে।