সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নে সংখ্যালঘুদের আসা যাওয়ার রাস্তার উপর দেওয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে, পঞ্চমীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ বাতেন এর বিরুদ্ধে। পরে সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া এর নির্দেশে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি ঘটনাস্থলে গিয়ে সংখলঘুদের রাস্তা উদ্ধার করে দেন ও রাস্তার উপর নির্মাণ করা দেয়াল টি ভেঙে দেন মঙ্গলবার বিকেলে।
১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, সাদিপুর ইউনিয়নে পঞ্চমীঘাট গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পিছনে বসবাসরত সংকর রায় এর স্ত্রী কন্যা জানায়, আমাদের আসা যাওয়ার একমাত্র পথ হল এই রাস্তাটি প্রায় ৩০ বছর ধরে আমরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসতেছি ও আশেপাশে থাকা আরো বাড়িঘরের লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
কিন্তু গত কয়েকদিন আগে এ রাস্তা বন্ধ করার জন্য দেওয়াল নির্মাণ করেন পঞ্চমীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ বাতেন, আমরা বাধা দিতে চাইলে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রধান করে প্রধান শিক্ষক এবং আমাদেরকে এখান থেকে উঠে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন ও ২ লাখ টাকা দাবি করেন প্রধান শিক্ষক আঃ বাতেন।
এ বিষয়ে আমরা সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রশিদ মোল্লাকে জানাই, উপজেলা চেয়ারম্যানের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সিকে জানাই। পরে ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে ও আমাদের রাস্তাটা উদ্ধার করে দেয়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থেকে উপস্থিত থেকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি জানায়, পঞ্চমীঘাট এলাকার সংকর রায় এর বাড়ির আসা যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে বিষয়টি আমাকে অবগত করেন পরে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া এর কাছে নিয়ে যাই বিষয়টি জানাই পরে তিনি সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ মোল্লাে ফোন দিয়ে বলেন বিষয়টি আপনি জোরালো ভাবে দেখেন এবং দেওয়াল টি ভেঙে দেন। আজ আমি ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পাই বিষয়টি খুবি দুঃখজনক, তারা অভিযোগ করেন তাদের এই রাস্তাটি দিয়ে ৩০ বছর চলাচল করে আসছে এবং গবাদি পশু রয়েছে কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি আমার বোধগম্য। আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে সাধারণ জনগণের পাশে সব আছি থাকব কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দিব না এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া আমাকে নিদের্শ করেন আমি যেন এখানে এসে উপস্থিত থেকে দেওয়ালটি ভেঙে দেই তাই আমি নিজে উপস্থিত থেকে নির্মাণ করা দেওয়ালটি ভেঙে দিলাম ও চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুলে দিলাম।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, সংকর রায় ও আশেপাশের কয়েকটি বাড়িঘরের আসা যাওয়ার একমাত্র পথ হল এই রাস্তাটি ৩০ বছর যাবৎ চলাচল করে আসছে তারা কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় পঞ্চমীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ বাতেন এবং তাদের কাছ এবং তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকাও দাবি করেন প্রধান শিক্ষক। পরে আজ সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিদের্শে রাস্তা থাকা দেওয়াটি ভেঙে দেয় ও রাস্তাটি উদ্ধার করে দেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার