সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান ওরফে লায়ন বাবুল।
তার বেফাঁস বক্তব্যের কারণে গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ লায়ন বাবুলকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করে। এরপর গত শনিবার সোনারগাঁ উপজেলা আহবায়ক কমিটির জরুরী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি বহাল রেখে তাকে শোকজের চিঠি দিবেন বলে জানিয়েছেন।
লায়ন মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে লায়ন বাবুল সোনারগাঁ উপজেলা আহবায়ক কমিটির নেতাদের সাথে শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সেখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রশ্ন তুলেন লায়ন বাবুলকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে নাকি সেটা নাটক করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী একটি ইসলামিক অনুষ্ঠানে লায়ন বাবুল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য রাখেন। সে বক্তব্যের পর তাকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অব্যাহতি দেয়ার একদিন না পেরুতেই লায়ন বাবুল আহবায়ক কমিটির সাথে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা শহীদ মিনারে আসেন। সেখানে তিনি তাদের সাথে শহীদ মিনারে পুস্প অর্পন করেন। সে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় উপজেলা আহবায়ক কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে লায়ন বাবুল শহীদ মিনারে এসে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জানান, লায়ন বাবুল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের মেয়ে দেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বক্তব্য করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। জেলা কমিটি তাকে অব্যাহতি দিয়েছে সেটা বহাল রেখেছে উপজেলা আহবায়ক কমিটি। সে আদেশ বহাল রাখার পরও লায়ন বাবুল কিভাবে আহবায়ক, যুগ্ন আহবায়ক ও কমিটি অন্যান্য সদস্যদের সাথে কিভাবে ফুল দিলো।
আবার সে ছবি কিভাবে ফেসবুকে ভাইরাল হলো এখন সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের কি জবাব দিব। দলের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্যের পরও নেতা কিভাবে দলের নেতৃবৃন্দের সাথে স্থান পায় সে প্রশ্ন আহবায়ক কমিটির কাছে।
আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন সুলতানা ঝরা বলেন, লায়ন মাহবু্ুর রহমান বাবুলকে বিধি মোতাবেক দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে তার শোকজের কাগজ তার হাতে পৌচ্ছে দেয়া হয়েছে। তারপর গতকাল রাতে সে তার মতো এসে আহবায়ক কমিটির মাঝখানে প্রবেশ করে ফটোসেশন করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে অনেকবার তাকে নিষেধ করার পরও সে ফটোসেশন করেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার