শাকিল শিকদার, ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় থাকা দেশের বেশ কয়েকটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৭৭৭ শিক্ষক দেড় বছর ধরে বেতন- ভাতা পাচ্ছেন না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখা'র ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হায়দার বলেন, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১০ সালে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় দুই ধাপে এক হাজার ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্প শেষে শিক্ষকদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই
বছরের ৩০ জুন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সে সময় কর্মরত ৭৮৬ শিক্ষককে বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ২০১৯- ২০ অর্থবছরে সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ৭৮৬ শিক্ষকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি আরো বলেন, প্রকল্পের ৭৮৬ শিক্ষকের চাকরি সরকারি খাতে নিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমরা ১৮ মাস ধরে বেতন-ভাতাদি না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।'
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। ১৮ মাস হয়ে গেল বেতন ছাড়া। অর্থের অভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে না পারায় দুই সহকর্মী
মারা গেছেন। একজন সহকর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং দ্রুত রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'
সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কারিগরি শিক্ষকরা। এ সময় তাঁরা তাঁদের দুঃখ দুর্দশার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, ঢাকা। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ছাওরা পারভীন ও আমিনুল ইসলাম, শাহ আলী আকন্দের (বীরবিক্রম) ছেলে ও সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মেহেদি হাসান দানিয়াল, শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর রেজাউল করিম প্রমুখ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার