মীমরাজ রাহুল, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর এলাকার উত্তর সেনপাড়া কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল অর্ধশত ঘরবাড়ি ও পুড়ে মারা গেল মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার। আহত হয়েছেন নিহতের মা তাছলিমা বেগম। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত রুমা আক্তার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিমবাগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বুধবার রাত ৩ টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফজলুল হক ও মোতালেব মিয়ার কলোনিতে বিদ্যুতের আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ফজলুল হক কলোনির ৩৩টি টিনশেড ঘর ও মোতালেব মিয়ার কলোনির ৮টি ঘরসহ প্রায় অর্ধশত পুড়েছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাকে বাচাঁনোর চেষ্টা করতে গিয়ে তার মা তাছলিমা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন।
আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সোনারগাঁও, ডেমরা এবং আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রুমা আক্তারের বড় বোন ঝুমা আক্তার জানান, তার মা কাচঁপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ছোট বোন রুমা আক্তার গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাচঁপুরে তাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সে মানসিক প্রতিবন্ধী থাকায় তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। রাত ৩ টার দিকে ঘরের চালে আগুন দেখে আমরা তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হয়ে আসি। পরে রুমার কথা মনে পড়লে তাকে বাচাঁতে গেলে তার মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয় এবং রুমা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ফজলুল হক ও মোতালিব মিয়া দাবি করছেন আগুনে তাদের টিনশেড ঘর ও ভাড়াটিয়াদের মালামালসহ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ডেমরা ফায়ার স্টেশনের জৈষ্ঠ্য স্টেশন কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার