সাকিব আহমেদ, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো আনিস উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে ও চাকুরিতে পুনঃবহালের দাবিতে আবারো মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষাথীরা জানায়, অতি সামান্য বিষয় নিয়ে অমানবিকভাবে আনিস স্যারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারের প্রতিবাদে এ সময় তারা নিন্দা জানায় এবং অনতিবিলম্বে শিক্ষক আনিস উদ্দিনকে যথাযথ মর্যাদায় বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন। না হলে পরবর্তীতে শিক্ষাথীরা অনশন কর্মসূচিতে নামবে বলে জানায় তারা।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে নবগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। এর আগে গত ১৪ তারিখেও শিক্ষার্থীরা প্রিয় শিক্ষকের সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছিলেন তারা । সে সময় বহিষ্কার আদেশ উঠানোর দাবি করে তারা বলেছিল আমাদের স্যার কে স্কুলে ফিরিয়ে না আনলে আমরা আমাদের এ প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে বলে জানান তারা।
তারা আরো বলেন, শিক্ষক আনিস উদ্দিন আমাদের প্রিয় একজন স্যার ও খুবই ভাল মানুষ। অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পাঠদান করতেন তিনি। কোন শিক্ষার্থী যদি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে না চলে তাকে কি শাসন করা যাবে না। নিয়ম শৃঙ্খলা ও পড়ালেখার একটা অংশ। শিক্ষকরা শাসন করেন আমাদের ভবিষ্যৎ ভালোর জন্য। কিন্তু বিদ্যালয় কতৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে বিদ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে তারা দাবি করে। এভাবে যদি চলে তাহলে সম্মানিত শিক্ষকদের পাঠ দানে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। কাজেই এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান করে শিক্ষক আনিস উদ্দিনকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন পাঁচ শো অধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ,অত্র বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যারা চুল বড় বড় রেখেছে তাদের চুল কাটতে বলা হয়। সবাই চুল কেটে ছোট করলেও চার জন ছোট করেনি। এতে শিক্ষক আনিস উদ্দিন ওই চারজন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে মারেন এবং চুল কাটতে বলেন। পরবর্তীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আকতার হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেন। এ ঘটনায় শিক্ষক আনিস উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার