সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: মির্জাপুরে যুবলীগ নেতাকে না চেনার অপরাধে এক নিরাপত্তা প্রহরীকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে উপজেলা সদরের বাওয়ার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা জিএস সেলিম সিকদার উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। তার বাড়ি সদরের বাওয়ার রোডে। মঙ্গলবার রাতে নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা সেলিম সিকদার, তার ভাই শামীম সিকদার, লাভলু মিয়া ও মোশারফ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন বাওয়ার রোডে খান টাওয়ারে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সেলিম সিকদার ও তার সহযোগী লাভলু মিয়া ওই ভবনের ভাড়াটিয়া মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় যুবলীগ নেতা দেখে প্রহরী আনোয়ার হোসেন না দাঁড়ানোয় তাকে গালমন্দ করতে থাকেন জিএস সেলিম সিকদার। এসময় আনোয়ার দুঃখ প্রকাশ করে তাকে গালমন্দ করতে নিষেধ করেন। রাত নয়টার দিকে যুবলীগ নেতা সেলিম সিকদারের নির্দেশে তার ছোট ভাই শামীম সিকদার, সহযোগি লাভলু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ ভবনের সামনে আনোয়ারকে টেনে হেঁচড়ে ভবনের পশ্চিম পাশে নিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে আহত করে। একপর্যায়ে তারা তার (আনোয়ারের) হাত-পা চেপে ধরে। পরে শামীম সিকদার ও মোশারফ হোসেন কাচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনার পর প্রহরী আনোয়ার হোসেন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিএস সেলিম সিকদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ও একটা বেয়াদব। আমি যাওয়ার পরও সে বসে ছিল। আমার সঙ্গে বেয়াদবি করার কথা শুনে আমার ছেলেরা গিয়ে ওর চুল কেটে দিয়েছে। এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য ওকে ডাকা হয়েছিল কিন্তু ও আসেনি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালে মাসুদ করিম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার