আশরাফুল সিকদার | চীফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ফ্লাই ওভার ব্রীজের নিচে নিয়মিতই বসে কাঁচামালের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের দোকান।নেয়া হয় তাদের থেকে নিয়মিতই চাঁদা। চাঁদা না দিলে বসতে দেয়া হচ্ছে না কোন দোকান।চাঁদা তোলা ও দোকান বসার জেরেই একজনকে বেধরক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর ১:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার গোড়াই ফ্লাই ওভারের নিচে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি গোড়াই দক্ষিণ নাজির পাড়া এলাকার মৃত তুফান দেওয়ানের ছেলে হাসেম দেওয়ান (৫০)।
এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে অভিযুক্ত করে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত হাসেম দেওয়ান।অভিযুক্তরা হলেন, ১. রিপন (৩৬), পিতা: অজ্ঞাত ২. পলাশ (৩০), পিতা: অজ্ঞাত ৩. মীর উজাস (৩৫), পিতা: মীর টিপু ৪. সোহেল (৪০),পিতা: আবুল হোসেন সর্ব সাং :- গোড়াই।
অভিযোগকারী হাসেম দেওয়ান বলেন, অভিযুক্তরা বিভিন্ন লোকের নিকট হতে দোকান বসাইয়া চাঁদা আদায় করে।কেউ চাঁদা দিতে না পারিলে মারধর করে।আমি আজ দুপুর ১:৩০ মিনিটে দোকান বসানোর সাথে সাথে ৭-৮ জন এসে আমার নিকট ১০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। পরে আমার দোকান হতে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।আমি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন আসে।পরে তারা চলে যাওয়ার সময় আমাকে বলে যায় যে,এখানে দোকান করলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে,অন্যথায় তোকে আবার মারধর করুম।তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন যে, আমি থানায় অভিযোগ করায় অপু ও বিপ্লব নামের দুই ব্যাক্তি আজ বিকালে আমাকে ডেকে নিয়ে আবারো মারার হুমকি দিছে এবং অভিযোগ তুলে ফেলতে বলছে।অন্যথায় আমাকে আর কোথাও দোকান করতে দিবে না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন যে,আমরা দোকান বসানোর সময় চাঁদা দিয়েছি।আবার প্রতি দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।চাঁদা না দিলে দোকান করতে দিবে না। আবার মাঝে মাঝে চাঁদার জন্য আমাদের হুমকিও দেয়।
উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা টুটুল বলেন,মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।তবে মহাসড়কে কোন দোকান বসতে দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানায়, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জানলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।