সকালবিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম: পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা, পৌর এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুতসহ আইন অমান্য করায় নারায়ণগঞ্জে ৭টি ইট ভাটার ৪ পরিচালককে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
অদ্য (২১শে জুলাই, রোজ- বৃহস্পতিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পরিবেশ স্পেশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট) মো. কাউছার আলম এ রায় ঘোষণা দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন রূপগঞ্জ উপজেলার তারাইল এলাকার এ.আর.বি-১, এ.আর.বি-২, মেসার্স বি.আর.বি বিক্স ফিল্ডের পরিচালক আলীম উদ্দিন, মেসার্স বি.আর.বি-২ এর পরিচালক ও কাঞ্চন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পনির হোসেন, মেসার্স এম.এম বিক্স ও মেসার্স পি.আর.বি বিক্স এর পরিচালক দেলোয়ার মোল্লা এবং কে.বি.এম বিক্স ফিল্ডের পরিচালক ইলিয়াস জাকারিয়া।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সোলাইমান মিয়া পারুল বলেন, ‘গত ৯ মে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সাত ইট ভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযোগ করেন পৌর সভা এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষেধ থাকার পরও কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় ৭টি ইট ভাটা স্থাপন করে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এ মামলায় আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
এতে তারা বলেন, ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নাই, পৌর এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত, ইট ভাটায় নদীর মাটি ব্যবহার করছেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে ইট ভাটা পরিচালনা না করার অঙ্গিকার করেন।’ পরে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজকে ৭টি ইট ভাটার ৪ জন পরিচালককে আইনের বিভিন্ন ধারায় ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেন।’
তিনি বলেন, ‘আসামিরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করে আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়াও এই মামলার সকল ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন আদালত। আর এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।’
স্পেশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনা টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপরেটর (পিএ) মো. সাইফুল মীর জানান, আলীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় ৩ লাখ টাকা অনাদায়ে ৩ মাসের কারদণ্ড এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন করায় ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। পনির হোসেনের বিরুদ্ধে পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় ২ লাখ টাকা অনাদায়ে ২ মাস, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে ১ লাখ অনাদায়ে ১ মাস ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড। দেলোয়ার মোল্লার বিরুদ্ধে পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় ১লাখ টাকা অনাদায়ে ১ মাস, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপনে ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড। এবং ইলিয়াস জাকারিয়ার বিরুদ্ধে পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপনে ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড।