আশিকুজ্জামান মিজান | ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ তারাকান্দা উপজেলায় দেড় মাস আগে ভক্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল খেতা শাহ নামে এক ফকির। এরপর বেশ যত্নে কাটছিল তার দিন। এরই মধ্যে হঠাৎ সেই ফকিরের সঙ্গে পালিয়েছে ভক্তের স্ত্রী। তিন সন্তান রেখে ভণ্ড ফকিরের সঙ্গে স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ায় বেশ বিপাকেই পড়েছেন স্বামী শফিকুল ইসলাম। এমন কান্ড ঘটেছে ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শফিকুল।
জানা গেছে, কয়েকমাস আগে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের কথিত আধ্যাতিক ফকির ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহ (৬০) এর মুরিদ মন তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৫)। গত দেড় মাস আগে ওই ফকির এসে শফিকুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ভক্ত শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলে গুরু ফকির খেতা শাহকে বেশ আদর-আপ্যায়ন করতে থাকেন।
গত ২২ জুন দুপুরের দিকে ভক্তের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৩৩) ফকির খেতা শাহকে সঙ্গে নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করেও তাদের আর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। খেতা শাহের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শফিকুল ইসলাম জানান, আমার গুরু যে এত বড় বড় প্রতারক তা আমি বুঝিনি। সে তন্ত্রমন্ত্র করে এবং নানাভাবে ফুসলিয়ে দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে দূরে কোথাও নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। আমার এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে এখন অনেক বিপাকে পড়েছি। এ ঘটনায় তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছি।
যাওয়ার সময় গরু বিক্রি করা ৯০ হাজার টাকাও তারা ঘর থেকে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন শফিকুল৷
এ ব্যাপারে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদেরকে উদ্ধার করতে আমরা কাজ করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ পলাশ শিকদার