জগদীশ মন্ডল | বরিশাল (আগৈলঝাড়া) প্রতিনিধি: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকা সন্ধ্যা নদীর নাব্যতা ফিরাতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান। জেলা প্রশাসন অবৈধ দলখলদারদের তালিকা প্রনয়ন করলেও দীর্ঘ দিনেও ওই তালিকায় থাকা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অত্যান্ত গোপনীয়তার মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই তালিকা সংবাদকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাইলবন্দি করে রেখেছেন। প্রসাসনের এহেন সুযোগের কারনে অবৈধ ব্যবসায়িরা নদীর দুপার ভরাট করে ইট-বালুর ব্যবসা করায় আজ নাব্যতা হারিয়েছে নদী।
খরস্রোতা এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা নদীর দুপারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন। অভিযানে দখলদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলা বাকাল ও বাগধা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীতে ঢাকা-পয়সারহাট লঞ্চ চলাচল করত। অন্তত এক যুগ আগে নদীর পূর্ব পাড়ে উপজেলার বাগধা গ্রামের গাউস বক্তিয়ার, আব্দুর জব্বার তালুকদার, সান্টু বাহাদুর,
কাওছার সিকদার, পূর্ব পয়সারহাট গ্রামের বাদশা বক্তিয়ার, মোনাসেফ হোসেন, ও বি.এম সালাউদ্দিনসহ ১০-১৫জনের দখল করে স্ব-মিল, ইট-বালুর ব্যবসা করে আসছে।
অবৈধ দখলের কারনে সন্ধ্যা নদী সংকুচিত হয়ে পরায় নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন অবৈধ দলখলদারদের তালিকা প্রনয়ণ করলেও ওই তালিকায় থাকা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেহের নিগার তনু।
অত্যান্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে ওই তালিকা সংবাদকর্মীদের চোখ ফকি দিয়ে ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে তার অফিসে। বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেহের নিগার তনু, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল, এসআই খায়রুল ইসলামসহ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রশাসনের প্রনয়ননকৃত অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে, সংবাদ কর্মীদেরও সরবরাহ করা হবে। পূর্বেই অবৈধ দখলদারদের অবৈধ স্থপানা অপসারনে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার পুনরায় তাদের এক সপ্তাহ সময় দিয়ে তাদের অবৈধ স্থপানা অপসারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করলে উচ্ছেধ অভিয়ান পরিচালনাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।